জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

গণতন্ত্র, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আইনের শাসনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মধ্যে তো অনেক মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট আছে। দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়- সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন আছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ব্যাপার আছে, মানবাধিকারের ব্যাপার আছে, বাংলাদেশে আইনের শাসনের ব্যাপার আছে- ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে- এটা তো আপনারা জানেন। এসব ব্যাপারে উনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে উনারা (জামার্নি) তো তার একটা অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলছে, বৃটেন বলেছে সবাই বলছে।
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন বাদে তো কোনো আলোচনা হতে পারে না। কারণ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাঁকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে উনারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? সকলের চোখ তো বাংলাদেশের দিকে। আগামী নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে? তারা (জার্মানি) চোখ রাখছে, তারাও দেখতে চাচ্ছে- আগামী দিনে বাংলাদেশের নির্বাচন কোথায় যায়? সেটা তারা চোখ রাখছে। উনাদেরও অবজারভেশন আছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়ে সবাই অবগত আছেন, এখানে অবগত করার কিছু নাই। এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা সবারই জানা আছে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু বলেছে কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না, না- এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো আমাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর রাষ্ট্রদূত নিয়েছেন জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, চেয়ারপারসনের বিষয় তো সবাই অবগত আছেন। উনার জেলে থাকার পেছনে যে কারণ সেটা সবারই তো জানা আছে।