ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, বরং বাইরে থেকে এসে ট্রেনকে ধাক্কা দেওয়া হয়’ রেলমন্ত্রী

‘ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, বরং বাইরে থেকে এসে ট্রেনকে ধাক্কা দেওয়া হয়’,- উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেললাইনে এসে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের নয়।’
আজ সোমবার গোপালগঞ্জের রেলস্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রেল তার নিজস্ব লাইনে চলে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাউকে ধাক্কা দিতে পারি না। অন্য যানবাহন এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আরেকজন এসে তার ক্ষতি করবে, আর তার দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। এই জায়গাটাতে আমাদের একটু সচেতনতা প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আড়াই থেকে তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইন তৈরি করছি। যেখানে রাস্তা আছে, সেখানেই ব্রিজ করা আছে। রেলে যে আমরা বেরিয়ার দেই, গেট দেই- এ গেটটা দেওয়া হয় যাতে রেলের কোনো ক্ষতি না হয়। রেল ঠিকভাবে চলতে পারে, বাইরে থেকে কোনো কিছু যেন রেলের ক্ষতি করতে না পারে। কিন্তু কেউ যদি এসে রেলগেটে কিংবা রেললাইনে দুর্ঘটনার শিকার হন তার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের নয়।’
‘যখন রেল চলাচল করে তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কারও রেললাইনে আসা-যাওয়ার সুযোগ নেই। আরেকজন এসে আমার সঙ্গে ধাক্কা খাবে তার দায়িত্ব রেলের ওপর দেবেন এটা যুক্তিসংগত নয়। আমি তো কাউকে ধাক্কা দিচ্ছি না। আরেকজন এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে রেল যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যে ধাক্কা দিচ্ছে তার দোষ নেই, যেহেতু বড় গাড়ি আমার তাই সব দোষ আমার। এটা হলো আমাদের জেনারেল পারসেপশন, কিন্তু যুক্তি দিয়ে যদি বিবেচনা করেন তাহলে আপনারা সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবেন।’
কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কারও কাম্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই ঘটনাগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই রেল যদি লাইনচ্যুত হয়। রেল যদি নিজের পথ ছেড়ে কারও বাড়িতে ঢুকে যায় সেটা হলো রেলের দুর্ঘটনা। এ বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেলের গেট পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের যারা রাস্তা করেছে। আপনার পৌরসভার রাস্তা আমার রেললাইনকে ক্রস করতেছে, আপনার লোকজন সেই রাস্তা দিয়ে পারাপার হবে এর দায়িত্ব আপনার আমার নয়।’
ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরে ঐতিহাসিক ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, কাঙিক্ষত স্বাধীনতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।