ট্রেন লিজ দেওয়া বন্ধ করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

গত তিন মাসে রেলের দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরদিকে রেলপথে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলা প্রতিটি ট্রেনের আয় বেশি হলেও বেসরকারি খাতে লিজ দেয়া সবক’টি ট্রেনের আয় কম। তাই বেসরকারি খাতে লিজ দেওয়া ৪০টি ট্রেনের মেয়াদ পূর্তির পর নতুন করে লিজ দেওয়া বন্ধ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
একইসঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে বেসরকারি খাতে ট্রেন লিজ দেওয়া সংক্রান্ত কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া রেলওয়ের অবৈধ দখলে থাকা ভূমি উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠকে কার্যপত্র পর্যালোচনা করে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, মো. শফিকুল আজম খান, মো. সাইফুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত তিন মাসে রেলের দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। এরমধ্যে ১৬টি ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া ১৫টি ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি এখনো।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ৪টি ট্রেনকে নমুনা ধরে মাসিক আয় ও পরিচালন ব্যয়ের তুলনামূলক হিসাব আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কমিটি বাংলাদেশ রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২০'কে যুগোপযোগী করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।