থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওচার আট বছরের মেয়াদ শেষ হওয়া না হওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার (রিভিউ) জন্য বিরোধীদের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার এ আদেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেন প্রায়ুথ; ২০১৯ সালে সামরিক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের পর তিনি ফের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
সেনা প্রবর্তিত নতুন সংবিধান অনুযায়ী, প্রায়ুথ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ আট বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। বিরোধীরা বলছেন, চলতি মাসেই সে মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
আদালতে রিভিউয়ের আবেদন জানিয়ে প্রধান বিরোধী দল বলেছে, চলতি মাসেই প্রায়ুথের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ, জান্তাপ্রধান হিসেবে তিনি যত দিন নিয়োজিত ছিলেন, সে সময়টুকুকেও তার মেয়াদের মধ্যে হিসাব করা উচিত।
তবে তার সমর্থকদের কেউ কেউ যুক্তি দেখাচ্ছেন, ২০১৭ সালে নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর কিংবা ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর থেকেই প্রায়ুথের মেয়াদ হিসাব করতে হবে। সে অনুযায়ী, প্রায়ুথ ২০২৫ সাল পর্যন্ত কিংবা ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পাবেন।
বুধবার সাংবিধানিক আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন প্রায়ুথ ওচা। আদালতের পাঁচ বিচারপতির প্যানেলের চার বিচারপতিই বরখাস্তের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আজ থেকেই এ রায় কার্যকর হবে।
তবে এ পিটিশনের ব্যাপারে আদালত চূড়ান্ত রায় কবে দেবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী প্রাউয়িত ওংসুয়ান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিকও চায় প্রায়ুথ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তবে, গত কয়েক বছর ধরে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখে পড়া প্রায়ুথ (৭৭) গত মাসেই তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটে পার পেয়ে গিয়েছিলেন।