দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিসহ ৬৯ ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

দক্ষিণ কোরিয়ার গ্যাংওন প্রদেশের স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সেখানকার এক কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের সবাই বিদেশি শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে নেপালি এবং বাংলাদেশিও রয়েছেন।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম কোরিয়া টাইমস।
গ্যাংওন প্রাদেশিক পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, প্রদেশের স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রায় ১০০ বার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত হয়েছিলেন তারা।
দেশটির পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কিশোরীকে স্ন্যাকস খাওয়ানো এবং তাদের বাসায় আড্ডার প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্তরা তার সঙ্গে যৌন মিলনের প্রস্তাব দেয়। দেশটির আইনপ্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে সংবিধিবদ্ধ অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে। কারণ মেয়েটি নাবালিকা এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা সেটা জানতেন।
কোরীয় আইন অনুযায়ী, ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সঙ্গে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যৌনতায় লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়ন অথবা ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে। ভুক্তভোগীর বয়স জানার পরও তার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হলে সেটিকে যৌন অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বিধান রয়েছে।
ধর্ষণের এই ঘটনা গত আগস্টের শুরুর দিকে ওই কিশোরী তার স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শের সময় প্রকাশ করে। পরবর্তীতে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ৬৯ শিক্ষার্থীর দক্ষিণ কোরিয়া ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।