দাবি না মানলে যাত্রীবাহি নৌযানেও ধর্মঘটের হুঁশিয়ারী

নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পন্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা। দ্রুত দাবি না মানলে যাত্রীবাহি নৌযানেও ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর কেডিসি ঘাট এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর তীরে বিক্ষোভ মিছিল করে ধর্মঘটি নৌযান শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট সফল করতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।
নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা প্রদান, নৌপথে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী বন্ধ এবং ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট করায় বরিশাল নদী বন্দরের আশপাশের এলাকায় কীর্তনখোলা নদীতে নোঙ্গর করে রয়েছে অর্ধ শতাধিক পন্য ও জ¦ালানীবাহি জাহাজ। এ কারণে পন্য ওঠা-নামা বদ্ধ রয়েছে। পন্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গতকালের কর্মসূচি থেকে নৌযান শ্রমিকরা বলেন, নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা প্রদান, নৌপথে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী বন্ধ এবং ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদানসহ ১১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শেখ আবুল হাসেম জানান, ১১ দফা দাবিতে গত দেড় বছরে ৩ বার ধর্মঘট পালন করেন তারা। প্রতিবারই সরকার এবং মালিক পক্ষ দাবি পূরণের আশ^াস দেন। সব শেষ গত বছরের অক্টোবরে দাবি পূরণের আশ^াসে ধর্মঘট স্থগিত করেন তারা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় হয়নি। এ কারণে পন্য ও জ¦ালানীবাহী নৌযানে আবার অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। যথাশিঘ্র দাবি আদায় না হলে যাত্রীবাহি জাহাজেও ধর্মঘট পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।