নতুন আলোয় প্রতিক্ষণ

নতুন আলোয় প্রতিক্ষণ

বিশ সাল ছিলো বিশাদে ভরা। একের পর এক বিষের হাওয়া আমদের মৃত্যুর সমুদ্রে ডুবিয়েছে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত বিশ্ব থেকে ১৮ লাখ এর অধিক প্রাণ কেড়েছে। আমার দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। বিশ্বে এখনো আক্রান্তের সংখ্যা ৮ কোটির উপরে। কোথায় এর শেষ? আপডেট বিশ্বে এর গন্তব্য আজও অজানা। মৃত্যুর কথা শুনেছি আমরা কিন্তু এমন মৃত্যু কল্পনাও করিনি। যা দিয়েছে দুই হাজার বিশ সাল (২০২০)। নিয়তি কি এমন হয়? অবশ্যই হয়। তার বাস্তব রূপ আমাদের সামনে চলমনা। এই চলামন  মহামারী কাটিয়ে উঠতে হয়ত পৃথিবীর অনেক সময় লাগবে। তবুও আমরা আশা রাখতে পরি। ভরসা করতে পরি সময়ের উপর। একদিন নতুন আলো ফুঠবে। বিশাদের ছায়া মুছে যাক নতুন আলোতে। 

২০২০ ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে জানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্ববাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমার দেশ এবং আমার শহর বরিশালও মেতেছিলো আনন্দ উৎসবে। নতুন বছরকে বরণ করে নেবার জন্য প্রত্যেক বাসার ছাদ, পড়া-মহল্লা, সরাকারি-বেসরকারি অফিস, সকলেই মেতেছিল আতশবাজিতে। খানিক সময়ের জন্য নগরীর আকাশ যেন চমকে উঠেছিল। মানুষ মেতে ছিলো আনন্দ নেশায়। আজ ওই দিনটাকে বেশি মনে পড়ছে। কারণ আবারও একটি নতুন বছরে আমরা। কিন্তু এবার একটু ভিন্ন। আতশবাজি নেই। চারিদিকে পুলিশের পাহারা। মন খারাপের আড্ডা। বন্ধুরা নেই বন্ধুদের সঙ্গে। নীরবে নিভৃতে এলো দুই হাজার একুশ (২০২১)।

কান্না থেমে যাক। পুত্র ফিরে পাক বাবার হাসি মুখ। মায়ের কান্না মুছে দিক কন্যা। শিক্ষার্থী ফিরে পাক তাঁর প্রাণ। চারিদিকে ফুল ফুটুক আলোর দিশারী নিয়ে। এমন মৃত্যুর ভয়াবহতা কেটে যাক। আপন ফিরে যাক আপনজনের কাছে। যে জীবন চেতনা বন্ধ করে দিয়েছে লকডাউন নামক এক কৌশল। আবার ফিরে আসুক সুন্দর জীবন-জীবিকায় এ পৃথিবী। 

নতুন সময়ের সঙ্গে জীবনযাত্রা শুরু হোক আলোমুখী। আজ মানুষ কান্না, চিৎকার, হাহাকার থেমে গিয়ে। শুধু হাসি ফিরে আসুক। এই দু:সময় কেটে যাবে সেই প্রতিক্ষায় আমরা। সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। খারাপের পর ভালো কিছু আসে। ২০২১ নতুন বছরটা নতুন আশায় গ্রহণ করবো সেই প্রতিক্ষায় প্রতিক্ষণ।