নারী বান্ধব ও আস্থাভাজন পুলিশ হতে হবে : বিএমপি কমিশনার

নারী বান্ধব ও আস্থাভাজন পুলিশ হতে হবে : বিএমপি কমিশনার

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, পুলিশ হবে জনতার’, কেবল মুখে নয়, জনতার পুলিশ হতে হলে, নারী বান্ধব পুলিশ হতে হবে। আস্থাভাজন পুলিশ হতে হবে। নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যকে শুদ্ধ করার আগে নিজেকে শুদ্ধ হতে হবে।

শনিবার সকালে ব্রজমোহন কলেজ অডিটোরিয়ামে বরিশাল পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় এসব কথা বলেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার আন্দোলনে নামার আগে নিজেকে মাদক মুক্ত রাখতে হবে। মাদক খাবেন আবার পুলিশে চাকুরী করবেন তা হবে না। আমাদের আকস্মিক ডোপ টেস্ট চলাকালে কোন পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা পেলে শুধু চাকুরিচ্যুতই নয়, ফৌজদারী আইনে মামলা করা হবে। 

‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’,  সেই জনতার পুলিশ হতে হলে, নারী বান্ধব পুলিশ হতে হবে। আস্থাভাজন পুলিশ হতে হবে, নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশকে অন্তর্ভুক্ত করে বিট পুলিশিং আরও জোরদার করতে হবে। বিট এলাকার  প্রত্যেক ঘরে ঘরে, প্রত্যেকের মুঠোফোনে সংরক্ষিত প্রিয়জনদের নম্বর তালিকায় বিট অফিসারের সরকারি নম্বর যেন থাকে। এই নম্বর যেন হয় নিরাপত্তার নম্বর, আস্থার নম্বর। সেভাবে দ্বারে দ্বারে ঘুরে জনগণের সমস্যার কথা শুনতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব এখনও কাটেনি, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিথিলতা চলবে না। শুরু থেকে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে নিজেকে সুস্থ্য রেখে জনগণকে সচেতন করে, জননিরাপত্তায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এখনও তেমনিভাবে সজাগ থাকতে হবে। বিট পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আভিযানিক কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করতে হবে। মানবাধিকার সমুন্নত রেখে আইন প্রয়োগ করে অপরাধ দমন করতে হবে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিএমপি প্রলয় চিসিম বলেন, আমাদের নীতিনৈতিকতা, পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা নির্ভেজাল সেবা দিচ্ছি কি-না, অন্যায় অনিয়ম করছি কি-না এবিষয়ে যেন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নেতিবাচক রিপোর্ট না আসে। সুতরাং পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে যেন বিএমপির ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকে সেবিষয়ে সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণ কাম্য। 

কল্যাণ সভা শেষে ভালো কাজ এবং বিভিন্ন আভিযানিক কাজের সফলতার জন্য বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) রুনা লায়লার সঞ্চালনায় কল্যাণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, 

উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক , উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. মনজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।