নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে ১১ গণমাধ্যমকর্মী আহত

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের চলমান সংঘর্ষে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা সংঘর্ষের সময় হামলার শিকার হন তারা।
সংঘর্ষ চলাকালে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা কয়েকজন সাংবাদিককে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এছাড়া পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও ইটের আঘাতেও আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজু, ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার প্রবীর দাস, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার জসীম উদ্দীন মাহি, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার ইকলাচুর রহমান, দীপ্ত টিভির রিপোর্টার আসিফ সুমিত, এসএ টিভির রিপোর্টার তুহিন, ক্যামেরাপারসন কবির হোসেন, আরটিভির ক্যামেরা পারসন সুমন দে, মাই টিভির রিপোর্টার ড্যানি, জাগো নিউজের রিপোর্টার তৌহিদুজ্জামান তন্ময়, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার জসীম উদ্দীন ও মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক জীবন।
এরমধ্যে দৈনিক আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজু ও ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার প্রবীর দাসকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়েছে দোকান কর্মচারীরা।
অন্যদিকে পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাসে আহত হয়েছেন জাগো নিউজের রিপোর্টার তৌহিদুজ্জামান তন্ময়, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার জসীম উদ্দীন আর রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক জীবন।
সোমবার দিনগত রাতে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলে। রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীরা আবারও অবস্থান নিলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানেগ্যাস ছোড়ে পুলিশ।