নির্বিচারে জলাশায় ভরাটের ফলে শিশুরা সাঁতার শেখায় বঞ্চিত

নির্বিচারে জলাশায় ভরাটের ফলে শিশুরা সাঁতার শেখায় বঞ্চিত

নির্বচারে বরিশালের পুকুর-জলাশয় ভরাটের কারণে শিশুরা সাঁতা শিখতে পারছে না। ফলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু হার কমাতে পুকুর-জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে।

গতকাল নগরীতে সাঁতার শেখা কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরের আমানতগঞ্জ এলাকায় শহীদ সুকান্ত বাবু স্মৃতি পার্ক সংলগ্ন পুকুরে ‘শিশুদের জীবন সুরক্ষায় সাঁতার শেখা’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।

মেয়র সেরনিয়াবাত  সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বরিশাল নগরের পুকুর, জলাশয়গুলো নির্বিচারে ভরাট করার ফলে  শিশুরা সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এ অঞ্চলে পানিতে ডুবে সাতার না জানা শিশুদের মৃত্যু হার বাড়ছে।  আর এ হার কমিয়ে আনতে বরিশাল সিটি করপোরেশন নগরীর চারটি পুকুরে ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের বিনামূল্যে সাঁতার শেখার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। 

তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের অঞ্চলের মানুষেরা জাতীয় পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বয়ে আনতো। আমাদের সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিশুদের সাঁতার শিখাতে হবে। আর এখন আমাদের শিশুরা সাঁতার শেখারই সুযোগ পাচ্ছে না। আজকে শিশুদের জন্য তেমন কোন বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরা বিপদগামী হচ্ছে। তাই ওদের কথা চিন্তা করে নগরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে মিনি পার্কের ব্যবস্থা করা হবে।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের বরিশাল প্রধান তৌফিক আহমেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য সাঁতার শেখার জন্য ছেলে শিশুদের শহীদ সুকান্ত বাবু স্মৃতি পার্ক সংলগ্ন পুকুর ও পরেশ সাগরের পুকুর এবং মেয়েদের জন্য ব্যাপিষ্ট মিশন বালিকা বিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড মিশন প্রাইমারী বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর নির্ধারণ করা হয়েছে।