নোবেলের সিদ্ধান্তে দুজনে মিলে শিমুকে হত্যা

অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ। নোবেলের সিদ্ধান্তে দুজনে মিলেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় তারা।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হুমায়ূন কবীর।
তিনি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধারের পর এই হত্যারহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ সুপার ঢাকার নির্দেশনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। আমরা ঘটনাস্থল ও শিমুর বাসা থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করি এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা শুরু করি।
হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, আমরা ভিকটিম শিমুর স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলী নোবেল (৪৮) ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে (৪৭) গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালতে দুজনেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
হুমায়ূন কবির আরও জানায়, আমাদের তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথমে তারা আমাদের জানায় নোবেল খুন করেছে আর ফরহাদ তাকে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু যখন আমরা তাদের রিমান্ডে নিয়ে আসি তখন ফরহাদ ও সরাসরি খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা দুজনে মিলেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
ফরহাদ একটি মেসে থাকে। প্রায়ই নোবেলের বাসায় আসা-যাওয়া করতো সে। নোবেলের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দুজনে মিলেই শিমুকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের সন্তানরা ঘুমিয়েছিল— এমন তথ্যও দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সেদিন কী নিয়ে ঝগড়ার জেরে হত্যা করা হয়েছিল এবং হত্যাকাণ্ডে ফরহাদ ও নোবেল কার কী ভূমিকা ছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন কবির বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে আমরা বলতে পারবো।