প্রতিবন্ধীদের জীবনমানের উন্নয়ন ও মূল স্রােতে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। বরিশাল কম্পিউটার কাউন্সিলর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর বরিশাল কম্পিউটার কাউন্সিলর (বিসিসি) অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিউরো ডেভোলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (এনডিডি)সহ সব ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম অংশীজনদের অবহিত করণ সংক্রান্ত ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল কম্পিউটার কাউন্সিলর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সেন্টার ইন-চার্জ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসেন ফয়সাল, বরিশাল সমাজ সেবা অফিসার অধ্যাপক আ. রসিদ, বরিশাল রাহাত আনোয়ার হসপিটালের ব্যবস্থপনা পরিচালক শারমিন আক্তার, ঝালকাঠী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রতিবন্ধী মো. ফয়সাল রহমান প্রমূখ। কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন বরিশাল কম্পিউটার কাউন্সিলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য রাখেন বরিশাল কম্পিউটার কাউন্সিলর প্রশিক্ষণ এমরান হোসেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সরকার দেশের মানবসম্পদকে তথ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। একই সঙ্গে আমাদের দক্ষ জনশক্তি দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে কাজে নিয়োজিত করার জন্যও উদ্যোগ চলছে। কিন্তু আমাদের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদেরও জনসম্পদে পরিণত করে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমান সরকার কম্পিউটার কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতার করা হচ্ছে। কর্মশালায় শারিরীক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সব ধরণের প্রতিবন্ধীদের যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে।
কর্মশালায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে শতাধিক মহিলা-পুরুষ প্রতিবন্ধী অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া কর্মশালায় নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সদস্য, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকতারা অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য বরিশাল, কম্পিউটার কাউন্সিল থেকে ইতিপূর্বে ৫টি টেনিং প্রোগামের মাধ্যমে ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী সদস্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।