প্রাক্তন কোন ব্যক্তি নয়, যাকে মাফ করতে হয়

১৭ অক্টোবর ছিলো প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেয়ার দিন। অর্থাৎ প্রাক্তন দিবস। যার যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে।
প্রথম আলোর ‘ছুটির দিনে’ পাতায় পড়েছিলাম কবির ভাইয়ের লেখা যার শিরোনাম ‘যাও, মাফ করে দিলাম’ লেখাটি দারুণ ছিলো। কিন্তু আমার কাছে কোথায় যেন খটকা লাগলো।
প্রাক্তন কে কেন ক্ষমা করে দিতে হবে? কেনইবা ক্ষমা শব্দ আসবে? সে অথবা আমি, আসলে আমারা কি একে অন্যের সঙ্গে কোন ভুল, অন্যায় করেছি? প্রেম ভালোবাসা যেমন হঠাৎ করে মনের অজান্তে কোন এক রোগের মতো এসে হাজির হয়। আবার অশ্রু হয়ে সমুদ্রে ভেসে যায়। চলতে থাকে পাল তোলা নৌকার মত করে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। ভালোবাসা কিন্তু সঙ্গেই থেকে যায়। যেমন করে কবি কাজী নজরুল ইসলাম নার্গিসকে চিঠিতে বলেছিলেন, ‘প্রেমের ফুল এ ধূলিতলে হয়ে যায় ম্লান, দগ্ধ, হতশ্রী। তুমি যদি সত্যিই আমায় ভালবাস, আমাকে চাও ওখান থেকেই আমাকে পাবে। লাইলি মজনুকে পায়নি, শিরি ফরহাদকে পায়নি, তবু তাদের মত করে কেউ কারো প্রিয়তমাকে পায়নি।’
ভালোসার মৃত্যু হয় না। ভালোবাসা চলে আসছে অনন্তকাল ধরে। চলতে থাকবে মহাকালঅব্দী। প্রিয়তম অথবা প্রিয়তমা যে যাকেই ভুলে যাক না কেন ভালোবাসা থেকে যায়। মধুর থেকে আরো মধুর হতে থাকে। অনুযোগ, অভিযোগ এক সময় মাটি হয়ে ভালোবাসা জন্ম নেয় বেদনার রূপ ধরে। সেখান থেকেই বুঝতে শিখি প্রাক্তন যে কত্তো আপন। মনের ভিতর আরো আপন হতে থাকে। হাটা, চলা, কাজ-কর্ম, যাই করতে যাই, এক সময় আমাদের প্রাক্তনের স্মৃতিগুলো সামনে চলে আসে। একটা ছোট্ট নি:শ্বাস ফেলে ফিরে যাই বর্তমানে।
তাই বলতে চাই;-
কালের পিরিত ভুলে,
কি করে ক্ষমা করি মোর প্রিয়কে?
প্রাক্তন কোন ব্যক্তি নয়,
যাকে মাফ করতে হয়।
প্রাক্তন ভালোবাসা।
সে যেন ভালোবাসা হয়েই থেকে যায়
যুগ যুগ ধরে।