বরগুনায় জেলা পরিষদে মনোনয়ন চেয়েছেন ৮ জন

বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার শেষ দিনে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ৮ টি ফরম জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ অফিসে।
জানা যায়, বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার শেষ দিনে ৮ টি মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে। মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তারা হল, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম. মজিবুল হক কিসলু, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র অ্যাড: মো: শাহজাহান, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাড: জিয়া উদ্দিন হিমু, সাবেক সদস্য অ্যাড: মো: আবদুল মোতালেব মিয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: জামাল হোসেন বিশ্বাস।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, আমি ৫ বছর বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রশাসক ছিলাম। আমার আমলে অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে। আমি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই বছর জেল খেটেছি। ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজজনীতিতে আছি। আমাকে কোন দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারেনি। আমাকে আবার মনোনয়ন দিলে সততার সঙ্গে কাজ করব। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, আমি সারা জীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। রাজনীতি করকে গিয়ে বার বার কারা বরণ করেছি। ১৯৭৫ সালে জাতীর জনকের হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই বছর কারাবরণ করেছি। আমার বাবাও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। সততার সঙ্গে কাজ করেছি। কোন দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি মনোনয়ন পেলে সততার সঙ্গে কাজ করে যাব। আব্বাস হোসেন মন্টু বলেন, বরগুনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি কেমন মানুষ তা বরগুনা বাসী জানেন। রাজনীতিতে আমার কোন দুর্নাম নেই। আমাকে মনোনয়ন দিলে সততার সঙ্গে কাজ করব। অ্যাড: এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, যারা মনোনয়ন চেয়েছেন তাদের মধ্য আমি ও জিয়া উদ্দিন হিমু কিছু পাইনি। গত বছর মাননীয় সভানেত্রী আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন দিয়েছেন। জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। গভীর রাতে বরগুনার জেলা চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন তার বিদ্রোহী ভাই মোশাররফ হোসেনের ঘোড়া মার্কায় ৩২ ভোট বেশী দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষনা দেওয়ায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস রাজনীতি করে বিগত দিনে যারা কিছু পায়নি। মাননীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের মূল্যায়ন করবেন। মাননীয় সভানেত্রী শিক্ষা, সামাজিক অবস্থান, রাজনীতি করে কিছু পায়নি। সার্বিক বিবেচনা করে মনোনয়ন দিবেন। মো: শাহজাহান বলেন, আমি বরগুনা পৌরসভার দুই বার মেয়র ছিলাম। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমি যখন মেয়র ছিলাম। দুর্নীতি ছোয়া আমার গায়ে লাগেনি। আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে মনোনয়ন দিলে মাস্টার প্লান করে জেলার উন্নয়ন করব। জিয়া উদ্দিন হিমু মোল্লা বলেন, সারা জীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলেছেন ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে সব ত্যাগি নেতারা কিছু পায়নি এবার তাদের মূল্যায়ন হবে। আমি মনোনয়ন পেলে সততার সঙ্গে কাজ করব।