বরিশাল জেলায় প্রবেশ ও ত্যাগে প্রশাসনের কড়াকড়ি

বরিশাল জেলায় প্রবেশ ও ত্যাগে জারি করা নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি অবস্থানে প্রশাসন। বরিশালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অপ্রয়োজনে দোকান খোলা রাখাসহ খেয়া নৌকায় জনসমাগম করা এবং সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া ঠেকানোর জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণজমায়েত রোধ এবং শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় অপ্রয়োজনে দোকান খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কয়েটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
সেনা বাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা এবং মো. হেলাল উদ্দিন পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন।
মো. নাজমুল হুদার ভ্রাম্যমান আদালত সকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অপ্রয়োজনে দোকান খোলা রেখে গণজমায়েত করায় কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় এক দোকানীকে ২ হাজার, বাজার রোডের একটি দোকান থেকে ৩ হাজার এবং ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার ২ দোকানীকে ২ হাজার টাকা এবং নগরীর নাজিরের মহল্লায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির দায়ে মো. ফুয়াদ নামে এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে মো. হেলাল উদ্দিনের ভ্রাম্যমান আদালত সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বাজার রোডের ২টি দোকান থেকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার, স্বরোডে একটি হার্ডওয়্যার দোকান থেকে ৩ হাজার এবং নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটে খেয়া চালু রেখে জনসমাগম করায় এক খেয়া মাঝিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত যেখানেই জনসমাগম দেখেন সেখানেই থেমে জনগণকে সুস্থ থাকতে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানে উদ্বুদ্ধ করেন। জরুরী এবং মানবিক প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বাইরে বের না হতে পরামর্শমূলক দিকনির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন বরিশালে প্রবেশ এবং বরিশাল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারীর পর বরিশালে প্রবেশ ও ত্যাগের উপর আরও কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে সেনা বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।