বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রী বোঝাই লঞ্চ ৩ ঘন্টা আটকে রেখেছে শ্রমিক লীগ

বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রী বোঝাই লঞ্চ ৩ ঘন্টা আটকে রেখেছে শ্রমিক লীগ

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বিসিক এলাকায় ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর এবং থানা মামলা না নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী বোঝাই সব লঞ্চ ৩ ঘন্টা আটকে রাখে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। বিসিক শিল্প মালিক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নগরের দুটি বাস টার্মিনাল, সকল যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে স্ব-স্ব এলাকার ক্ষমতাসীনরা।

গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৬টি লঞ্চ (এমভি কুয়াকাটা-২, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯, এমভি সুন্দরবন-১১, এমভি সুরবী-৯, এমভি পারাবত-১২ ও এমভি পারাবত-১০) যাত্রী বোঝাই করে। এসব লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌঁনে ৯টার মধ্যে। লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী প্রতি লঞ্চের কর্মকর্তাদের লঞ্চ ছাড়তে নিষেধ করেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতার নিষেধ থাকায় কোন কর্তৃপক্ষই যথাসময়ে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি।

এদিকে সুনির্দিস্ট কোন কারণ ছাড়া কর্তৃপক্ষ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে লঞ্চ না ছাড়ায় রাত সাড়ে ১০টার পর যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যাত্রা বিলম্ব হওয়ায় অনেক যাত্রী বাড়ি ফিরে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন করে।
পারাবত লঞ্চ কোম্পানীর এক কর্মচারী জানান, শ্রমিক লীগ নেতা পরিমল বাবু লঞ্চ ছাড়তে নিষেধ করেছেন। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে কোন লঞ্চ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। 

এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ছাড়ার কোন নির্দেশনা পাননি। তাই রাত ১১টা পর্যন্ত লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়েনি। 

এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি বরিশাল নদী বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল্লাহ আল-মামুন। 
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিলো। রাত ১১টার পর সব লঞ্চ পর্যায়ক্রমে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।