বরিশাল নদী বন্দরের থাকা একটি লঞ্চ আগুনে পুড়েগেছে

বরিশালের নৌবন্দরে থাকা এমভি চন্দ্রদীপ নামের একটি লঞ্চ আগুনে পুড়ে গেছে। প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। তবে কোনধরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ শুক্রবার ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নদী বন্দর এবং ফায়ার সার্ভিস জানায়, সরকারি নির্দেশে সারা দেশের মতো বরিশাল নদী বন্দর থেকেও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কিছু লঞ্চ নদী বন্দরের উত্তরপ্রান্তে পন্টুনে নোঙর করে রাখা ছিলো। লঞ্চের মধ্যে থাকতেন কর্মচারীরা। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আকস্মিক লঞ্চে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিকটবর্তী নদী বন্দরে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় সকাল সকাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এর আগেই লঞ্চের নীচ এবং দ্বিতীয় তলার অবকাঠামো এবং আসবাবপত্র সহ সাজসজ্জা পুড়ে যায়।
ফায়র সার্ভিস এবং পুলিশ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল অথবা ধূমপানের আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আগুনের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয় বলে দাবি বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।
কয়েল কিংবা ধূমপানের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল-মামুনের।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, চন্দ্রদ্বীপ নামে ওই লঞ্চেটি বরিশাল-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচল করতো। সরকারি নির্দেশে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার সকল রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে প্রায় ৩০টি লঞ্চ নদী বন্দরের পন্টুনে নোঙর করে রাখা ছিলো। নোঙর করে রাখা লঞ্চের পেছনের দিকে থাকা চন্দ্রদ্বীপ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তা না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা ছিলো।
চলাচল বন্ধ থাকা লঞ্চের পাহাড়াদারদের মশার কয়েল কিংবা বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে বলেও তার আশংকা। এ ঘটনার পর নদী বন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।