বরিশাল বিশ্ববিদ্যলয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভার্চুয়াল সভা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যলয়ে জন্মাস্টমী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুয়েলী বিশ্বাস।

সোমবার পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির আহ্বায়ক সুজন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে ওই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক অধ্যাপক জুয়েলী বিশ্বাস বলেন, শ্রীকৃষ্ণ একদিকে প্রবল রাজনীতি সচেতন অন্যদিকে প্রেমে, সহমর্মিতায় ও সৌহার্দ্যে মাধুর্যময়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যে রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ কৃষ্ণকে আমরা দেখতে পাই তাই আজও আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে প্রাসঙ্গিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে শ্রীকৃষ্ণের জীবনাদর্শ অন্যতম পাথেয়। কেননা তিনি অর্জুনকে বলেছিলেন অন্যায়কারী পরম আত্মীয় হলেও তাকে সঠিক বিচারে উপযুক্ত সাজা দিতে না পারলে অন্যায় দমন করা সম্ভব নয়।

সভায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যময় কথা হলো অন্যায়কারী রক্তসম্পর্কের আত্মীয় হলেও সে পরিত্যাজ্য। তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে পুঁজি করে সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মচর্চা ও মিশ্র সংস্কৃতির সহাবস্থানের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন তার মানে ধর্মহীনতা নয়। বরং আপন ধর্ম পালনের জন্য সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্মের মহামানবদের জীবনাদর্শ ধারণ করার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য নিয়ে আলোচনা করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যলয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান  অসীম কুমার নন্দী, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বিজন কৃষ্ণ সাহা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুফল সরকার।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যলয়ের একাউন্টিং অ্যা- ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মল্লিকা সাহা।