বরিশাল শেবাচিমে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

বরিশাল শেবাচিমে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশের পর বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।

দৈনিক মজুরী ভিত্তিক এবং চতুর্থ শ্রেনীর নিয়মিত কর্মচারীদের সমন্বয়ে সপ্তাহে একদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ক্যাম্পাসে এই অভিযান চালাবে তারা। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ডাক্তার-নার্স এবং ওয়ার্ড মাস্টারগণ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারক করবে। এই কার্যক্রম চলমান থাকলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার চিত্র পাল্টে যাবে বলে আশা রোগীর স্বজনদের। নতুন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ করায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে গতি ফিরবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এই কার্যক্রমে নিজেকেও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী মনে করেন পরিচালক। এর সুফল রোগীরা ভোগ করবে প্রত্যাশা তার। 

গত ১৯ জানুয়ারি শের-ই বাংলা মেডিকেল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিভাগীয় সদরের এই হাসপাতালটি দেশের অন্য হাসপাতালের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলে ডাক্তারদের সাথে এক প্রকাশ্য মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেন তিনি। ডাক্তারদের ওই সভায় হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা-অপরিস্কার-অরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী। 

মন্ত্রীর নির্দেশনার পর বর্তমান জনবল দিয়ে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগে নেয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নিয়োগকৃত দৈনিক মজুরী ভিত্তিক ১৭৪ জন কর্মচারী এবং চতুর্থ শ্রেনীর স্থায়ী ২৩৫ জন জনবল দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন নতুন বর্ধিত ভবন চত্তর এবং ক্যাম্পাস পরিস্কার করেন তারা। 

 

এই কার্যক্রম চলমান থাকলে হাসপাতালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার চিত্র পাল্টে যাবে এবং রোগীরা ভালো পরিবেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা রোগী ও তাদের স্বজনদের। 

সম্প্রতি দৈনিক মজুরী ভিত্তিক ১৭৪ জন জনবল নিয়োগ করায় পরিচ্ছনতা কার্যক্রম গতি পাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।  

সংশ্লিস্ট ডাক্তার-নার্স এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের সমন্বয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ডে পরিচ্ছনতা টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। তারা প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার নিজ নিজ ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন করবেন। অন্য ৬ দিন নিয়োগকৃত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখবে। এতে রোগীরা আরও ভালো পরিবেশে চিকিৎসা পাবেন বলে আশা পরিচালকের।  

প্রতিদিন এই হাসপাতালে আড়াই থেকে ৩ মেট্রিক টন বর্জ্য হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।