বরিশাল সিটি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বরিশাল সিটি কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে। চাকরি দেয়ার কথা বলে বছর কয়েক আগে উৎকোচ হিসেবে টাকা নিলেও এখন পর্যন্ত চাকরি দেননি তিনি।
এমন অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সাহিন সিকদার নামের এক যুবক। রোববার বরিশাল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সাহিন সিককার নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা এবং অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ’র মালিকানাধীন ‘মাতৃছায়া কিন্ডার গার্ডেনের সামনের ফল ব্যবসায়ী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরিশাল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ। তার দাবি ফলের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য অভিযোগকারী সাহিনকে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। সেটা না দেয়ার জন্য তিনি এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ বলেন, ফলের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য তিনি সাহিনকে ১৪ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি ব্যবসার সুবাদে অধ্যক্ষ সুজিত কুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের সূত্র ধরে কলেজে পিয়ন পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় পর্যায়ক্রমে ৯ লাখ টাকা নেন অধ্যক্ষ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চাকরি দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করলে অধ্যক্ষের নিকট টাকা ফেরত চাই। এজন্য গত বছর ২৯ মার্চ আমাকে অপহরণের পর আটকে রেখে বেদম মারধর এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, একটি চেকসহ মানিব্যাগ এবং আমার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে অধ্যক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন সময় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছি। এজন্য তিনি বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি যাতে আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য না যেতে পারি সেজন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে অধ্যক্ষের সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অপহরণের ঘটনার তিন মাস পর ১৪ লাখ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য অধ্যক্ষকে আইনী নোটিশও দিয়েছি। কিন্তু তিনি নোটিশের কোন জবাব দেননি। তাই তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সাহিন ফলের ব্যবসা করে। সেই সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয়। সাহিন তার ফলের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ধার নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টাকা পরিশোধ বাবদ সাহিন আমাকে ১৪ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। কিন্তু যেই হিসাব নাম্বরের চেক দিয়েছে সেই হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় ব্যাংক চ্যাকটিকে ডিজ অনার করে। এজন্য সাহিনের বিরুদ্ধে আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করেছি।
সাহিনের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, মোটরসাইকেল ছিনতাই এবং ব্যাংক চেকসহ মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সাহিন টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয় সে জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার এমনকি মামলাও করেছে।