বরিশালে এক মাসে নদী ভাঙনে ৬ স্কুল বিলীন

মেঘনা, মাসকাটা, কালাবদর, ইলিশা ও তেতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ। ভয়াবহ ভাঙন দেখ দিয়েছে পার্শবর্তী হিজলা উপজেলায়ও। গত এক মাসের দুই উপজেলার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলী জমি ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
গত বুধবার মেহেন্দিগঞ্জের উত্তরচর এলাকায় মেঘনা নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের শান্তনা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। বেরী বাঁধ নির্মাণ এবং ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙন রোধে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন তিনি।
অব্যাহত নদী ভাঙনের হুমকীতে রয়েছে চারিদিকে নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ এবং সংলগ্ন হিজলা। সহায় সম্বল রক্ষায় দ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বেরী বাঁধ নির্মাণ এবং ডুবোচর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করা সম্ভব বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে গত ১ মাসে দুই উপজেলার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনসহ বাড়িঘর, স্থাপনা, রাস্তাঘাট ও বিস্তীর্ণ ফসলী জমি নদীতে হারিয়ে গেছে। নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। এখনও ভাঙন আতংকে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
নদী ভাঙনসহ নানা প্রকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই বসবাস নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ এবং চরবেষ্টিত হিজলার উপজেলার মানুষ। একাধিকবার নদী গর্ভে বাড়িঘর বিলীন হওয়ার পর এখনও নদী ভাঙনের হুমকীতে রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। সাম্প্রতিক সময় উত্তরের বন্যা এবং জোয়ারের পানির প্রভাবে মেহেন্দিগঞ্জের চর এককরিয়া, উত্তরচর, আলীগঞ্জ, রুকুন্দি, স্টিমারঘাট, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, শ্রীপুর, আলীমাবাদ ও দড়িরচর খাজুরিয়া এবং হিজলার পুরাতন হিজলা, দক্ষিণ বাউশিয়া ও হরিনাথপুর এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, এবার সারা দেশের মতো মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা উপজেলায়ও ব্যাপক নদী ভাঙন হয়েছে। দুই উপজেলায় গত ১ মাসে ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেয়া আছে। ওই প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।