বরিশালে গৃহকর্মীকে আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশালে গৃহকর্মীকে আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশালে এক গৃহকর্মীকে ঘরে আটকে গরম খুন্তি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে কোতয়ালী পুলিশ ১৩ বছরের ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার বরিশাল নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আশা নামের ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিফিউজি কলোনী এলাকার বাসিন্দা বুলবুল বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস কয়েক বছর পূর্বে ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা ডেভিড বিশ্বাস ও মেরী বিশ্বাসের বড় কন্যা আশা বিশ্বাসকে গৃহকর্মী হিসেবে বাসায় রাখেন। আশাকে নিয়ে আসার কিছুদিন যেতেই ওই গৃহকর্মীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালানো হতো। গৃহকর্মী আশা জানায়, কথায় কথায় ওই বাসায় তাকে মারধর করতো বকুল আর বুলবুল পিসি। কখনো খুন্তি গরম করেও শরীরে ছ্যাঁকা দিতো। চিৎকার করলে তারা গলা চেপে ধরে মারতেন।  তিনি জানান, পিসিরা আঘাতের স্থান দেখে দেখে পুনঃরায় মারধর করতেন। যন্ত্রণার কথা বললেও নির্যাতনের ধরণ পাল্টে যেতো। নির্যাতন চালিয়ে ঘরের মধ্যেই আটকে রাখা হতো। কোন কারণ বসত ঘরের বাইরে গেলে মারধর করা হতো।

আশা জানায়, পিসিরা বলাবলি করতেন আমি বাইরে বের হলেই নাকি লোকজনের কাছে নালিশ করি। আবার আমাকে মারধরের কথা বলি।
পুলিশের নারী সদস্যরা জানিয়েছে, আশার ঘাড়ে, হাতে, পায়ে, পিঠে ক্ষত ও জখমের চিহ্ণ রয়েছে।

আশা বিশ্বাসের পিতা ডেভিড বিশ্বাস জানান, ইচ্ছা থাকলেও মেয়েকে তাদের (বকুল ও বুলবুল বিশ্বাস) কাছ থেকে নিতে পারেননি। মারধরের কথা শুনে একবার নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজন সায়মন কুন্তল বিশ্বাস তাকে হুমকি দেওয়ায় আর মেয়েকে তাদের কাছে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা গৃহপরিচারিকা আশার ওপর অমানষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাড়ি থেকে গৃহ পরিচারিকাকে উদ্ধা করা হয়। শিশুটিকে নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য উঠে আসছে। তার ওপর অমানসিক নির্যাতন হতো। আমরা এ ঘটনায় নির্যাতনকারী দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছি। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান নির্যাতনকারী বকুল বিশ্বাস ও বুলবুল বিশ্বাস।