ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীর সংঘর্ষ: ৩৬ পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীর সংঘর্ষ: ৩৬ পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরে সংঘর্ষের সময় সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৬ জন পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা দাখিল করেছেন।

মামলার আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বাছেত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় দাখিল করা হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহত হন ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনের গুলিতে। এ ঘটনায় ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে 'লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনা'র প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৩১ জুলাই) ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সময় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এবং বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, যার মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এই সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম নিহত হন। একইদিন আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।

এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।