বরিশালে বধ্যভূমি আলোকিত করেছে তারুণ্যের আলো

বরিশালে বধ্যভূমি আলোকিত করেছে তারুণ্যের আলো

আজকের তরুনরাই বাংলাদেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। তাই এই প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তাদের জানাতে হবে আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ, বধ্যভূমি।

বরিশাল নগরের কীর্তনখোলা নদীর তীরে নির্মিত বধ্যভূমিতে আলোক প্রজ্জলন ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তরুনরা।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দৈনিক বরিশাল ভোরের আলোর পাঠক সংগঠন তারুণ্যের আলো।

বধ্যভূমিতে মোববাতি দিয়ে আলোকিত করার পর অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের প্রজন্মকে সারাদেশের বধ্যভূমির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। বরিশালে সেদিনের সেই নির্মমতার সাক্ষী ওয়াপদার নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) সম্পর্কে জানাতে হবে। যেখানে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী দেশের নীরিহ মানুষ ধরে এনে হত্যা করেছে। ধর্ষণ ও নর্মিম নির্যাতন চালিয়েছে আমাদের মা-বোনদের ওপর। ওই নির্মমতা যদি এই প্রজন্মকে ছুঁয়ে না যায় তাহলে তারা বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে না। তারুন্যের আলো আহ্বান জানাচ্ছে, বরিশালের তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সামনে চলতে।

 ভোরের আলোর পাঠক সংগঠন তারুণ্যের আলোর আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ভোরের আলোর সম্পাদক সাইফুর রহমান মিরণ, বার্তা সম্পাদক তন্ময় নাথ, তারুণ্যের আলোর সদস্য সচিব সাকিল আহম্মেদ, সংগঠক কবি শোভন কর্মকার কৃষ্ণ, সুদীপ কুমার নাথ, সাকুর খান নাহিদ, মিলা কর্মকার, অমিত হাসান অভি, সুকান্ত অপি, কায়সার আহম্মেদ কানন, কাইউম হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।