বরিশালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বরিশালে আলোচনা সভা এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দেশের সর্বাধিক প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর সদর রোডের বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি এমএম কাইয়ুম, প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ।
সিনিয়র সাংবাদিক মুরাদ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক (বরিশাল) রাহাত খান। এছাড়া পত্রিকা এজেন্ট, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সহ অন্যান্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ঘুম থেকে উঠে যে কয়টি জাতীয় পত্রিকা পড়ার আগ্রহ দেখায় তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন অন্যতম। দামে কম হওয়ায় পত্রিকাটি সর্ব সাধারণ কিনে পড়তে পারে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ১২ বছর আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রিন্ট পত্রিকার জগতে একটা নতুনত্ব নিয়ে এসেছিলো। তারা একটি নতুন ডায়মেনশন তৈরি করেছে। অনেক গুণী সাংবাদিক এই প্রত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত আছেন। তাদের লেখনীর কারণে পাঠক প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ প্রতিদিন যুগ যুগ পাঠকপ্রিয়তা ধরে রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারকে ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একটি পত্রিকা দির্ঘদিন পাঠক প্রিয়াতর শীর্ষে থাকে তার সাংবািদকদের লেখনীর কারণে। সম্পাদক নঈম নিজাম এবং নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পত্রিকাটি দিন দিন আরও পাঠকের মন জয় করছে। সাংবাদিকরা সব সময় উন্নয়নের সহযোগী। সাংবাদিকতার অনেক শাখা প্রশাখা (প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন) হয়েছে। কিন্তু এই জায়গায় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়েও সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন গুরুত্বপূর্ণ। নীতি নির্ধারকদের উচিৎ সমন্বয়হীনতা দূর করে সাংবাদিকতাকে সামনে এগিয়ে নেওয়া। সাংবাদিকরা উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্বচ্ছতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে অতিথিরা কেক কেটে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন।