বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গু ভয়াবহ,,নেই প্লাটিলেট দেওয়ার ব্যবস্থা

বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গু ভয়াবহ,,নেই প্লাটিলেট দেওয়ার ব্যবস্থা

 


বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। বর্ষা মৌসুমে বরিশালে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গতকাল হাসপাতালে ৯৭জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিল। আক্রান্তুদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার রোগী বেশি। তবে ঢাকা থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে গ্রামের বাড়িতে আসা রোগীর সংখ্যাও কম নয়। হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের প্রতি ওয়ার্ডেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাটিলেট কমে যাওয়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্লাটিলেট দেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। গুরুতর রোগীকে বাধ্য হয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে হাসপতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিছানা ও মেঝেতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ভিড়। তদেও মধ্যে বেশিরভাগ রোগী জানতেন না তারা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত। হাসপাতালে এসে রক্ত পরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়েছেন।

শামীম নামের এক রোগী জানান, ঈদে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছিলেন। প্রচ- জ¦রে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের মেঝেতে ছিলেন কয়েকদিন। 

চিকিৎসকরা বলছেন, বরিশালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। একদিনে হাসপাতালে ৯৭জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছে। নতুন ভর্তি হয়েছে ২৫জন। এদিকে হাসপাতালে প্লাটিলেট দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় গুরুতর রোগীদের যেতে হচ্ছে ঢাকায়। রোগী ও স্বজনরা জানান, জ¦র নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তারা। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে ডেঙ্গু।

মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. মো. নাভিদ বলেন, প্রতিদিনি রোগী বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৪০-৪৫ ভাগ রোগীই বরিশাল ও আশপাশের উপজেলার। তবে চিকিৎসায় সবাই সুস্থ্য হয়ে ফিরছেন। গুরুতর কোন রোগী নেই বললেই চলে।
 মেডিসিন ইউনিট-৩ এর মেডিকেল অফিসার ডা. আয়েশা আক্তার রিনা বলেন, ডেঙ্গু হলে আতংকিত না হয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিরোধেও উদ্যোগ নিতে হবে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বরিশালে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বর্তমানে ৯৭জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য মেডিসিন ওয়ার্ডে পৃথক কর্ণার করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে প্লাটিলেট দেয়ার মেশিন নাই। মেশিন চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। 

চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাস পর্যন্ত ৫১জন রোগী এই হাসপতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছে। জুন মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪৯ জন। জুলাই মাসের শুরুতে প্রকোপ আরো বেশি দেখা দেয়। আজ ৯৭জন রোগী ভর্তি আছে। নতুন ভর্তি হয়েছে ২৫ জন।