বরিশালে মালটা চাষে স্বাবলম্বী শ্যামল ব্যাণার্জী

বরিশালের উজিরপুরে রসালো মালটা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শ্যামল ব্যাণার্জী। এবছর এক মৌসুমে ৫০ মন মালটা উৎপাদন হবে এমন আশা শ্যামল ব্যাণার্জীর। রাসায়নিক মুক্ত মালটার কদরও বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা তার মালটা বাগান পরিদর্শন করে আনুষ্ঠানিক বিক্রির উদ্বোধন করেছেন।
উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের সফল কৃষক গুরুদাস ব্যানার্জী ওরফে শ্যামল ২০১৭ সালে ৩০ শতক জমির উপরে একটি মালটা বাগান করেন। এই বাগানে বর্তমানে বারি মালটা-১ প্রজাতির ৪২টি পূর্ণ বয়স্ক মালটা গাছ রয়েছে।
শ্যামল ব্যানার্জীর মালটা বিক্রির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওই বাগানে উপস্থিত হন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার হালদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন তালুকদার, ওই ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা।
উদ্বোধনকালে কৃষক শ্যামল ব্যানার্জী জানান, ২০১৭ সালে এই মালটা বাগানটি তিনি গড়ে তোলেন। ২০১৮ সালে প্রথম তার বাগানের ফল বিক্রি শুরু হয়। এ বছর প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন এমন আশা তার। পাইকারী ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মালটা। এই মালটা রাসায়নিক, কেমিক্যাল ও ফরমালিনমুক্ত রসালো। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় দাম একটু বেশি দিয়েও পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা বাগান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। ইচলাদী বাসস্টান্ডে নিউ প্রগতি ট্রেডার্সে পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় হচ্ছে শ্যমলের বাগানের মালটা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন তালুকদার জানান, শ্যামল ব্যানার্জী অত্যন্ত সফল কৃষক। তিনি মালটা বাগানের পাশাপাশি আম, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বৃক্ষের বাগান করেছেন। প্রতিটি বাগানেই তিনি সফল হয়েছেন। উজিরপুরে ইতিমধ্যে শতাধিক মালটা বাগান হয়েছে। স্থানীয়দের প্রয়োজন মিটিয়ে বিভিন্ন শহরে বিক্রি হচ্ছে এখানে মালটা।