বরিশালে সমাবেশস্থলেই রান্নবান্না

আগামীকাল ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই বিভাগের জেলা, উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসে অবস্থান করছেন। রাত থকেই তারা নিজেদের উদ্যোগে রান্নবান্না করে খাচ্ছেন।
সমাবেশস্থল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গত রাতে (৪ নভেম্বর) দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ চাঁদর বিছিয়ে আবর কেউ তবুর নিচে, কেউ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন আড্ডার ছলে। এদের মধ্যে পটুয়াখালী, আমতলী, ভোলা, বরগুনা, পাথরঘাটা, গৌরনদীর নেতাকর্মীরা বেশি রয়েছেন।
আগেই সমাবেশস্থলে কেন আসছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন, বরিশালে গত ৩ নম্বের থেকেই পরিবহন বন্ধ হচ্ছিল। তাই যাতে পথে ঘাটে কষ্ট না হয় এ জন্য আগে ভাগেই সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন।
গৌরনদী যুবদলের সদস্য সচিব মনির মাস্টার বলেন, ‘বর্তমান সরকার পদে পদে ভুল করছেন তার খেসারত এই ৩ ঘন্টার সমাবেশ এখন তিন দিনে রূপ নিয়েছে।’ তবে তিনি পথে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দুইচাকার জানে বরিশাল এসেছে বলে জানান।
ভোলার চরফ্যাশনের ছাত্রদলের মেজবাহ আহমেদ মান্না বলেন, ‘ বরিশালে আসার জন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে তাই আমরা দুইদিন আগে সমাবেশ আসলাম। কিন্তু দুই দিন আগে রওনা করেও আমরা যানবহন পাইনি।’
বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে এসে ভালোই করেছি। পথে-ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশে চেকপোস্ট, যেখানে না লাগে সেখানেও চেকপোস্ট। নানা বাধা বিপত্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুদিন আগে পৌঁছেছি। এখন মুড়ি চিড়া খাবার হিসেবে খাচ্ছি।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল বিএনপির মাসুদ হালদার বলেন, আমরা ট্রলারে করে বরিশাল সমাবেশে এসেছি।’
এদিকে দুইদিন আগেই সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মানুষের এতো ভীড় দেখে ছোট ছোট দোকান গুলো পানির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে আজ থেকে বরিশালে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। পাশাপশি লঞ্চসহ সকল ছোট-বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাবে অনেকেরে মানুষ এড়িয়ে স্টান্ড বাদে অন্যত্র থেকে অটো, রিক্সায় যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।
এছাড়া বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, গোয়েন্দসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক সদস্যরা তৎপর রয়েছে।##