বরিশালে সীমিত লকডাউনে নিত্য পন্য ছাড়া সব দোকানপাঠ বন্ধ

বরিশালে সীমিত লকডাউনে নিত্য পন্য ছাড়া সব দোকানপাঠ বন্ধ

সীমিত লকডাউনে বরিশালে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ছাড়া সব ধরণের দোকানপাঠ এবং শপিং মল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে লকডাউনের কারণে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় রয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে লকডাউনে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ থাকায় জরুরী প্রয়োজনে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় স্বল্প দূরত্বে যেতে হচ্ছে। 

করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের মতো বরিশালেও গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সীমিত আকারের লকডাউন। লকডাউনকালে দোকানপাঠ এবং যানবাহন বন্ধ রাখতে আগেই মাইকিং করেছে সিটি করপোরেশন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকে নগরীর বেশীরভাগ দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ ছিল। তবে মুদী দোকান, কাঁচা বাজার, মাছের বাজার এবং ওষুধের দোকান খোলা ছিল। সকালের দিকে বাজারঘাটে ভীড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার ফাঁকা হয়ে যায় । 

অন্যদিকে লকডাউনের কারণে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ রয়েছে। তবে ফাঁক ফোকর গলে ব্যাটারীচালিত কিছু রিক্সা, অটোরিক্সা এবং থ্রি হুইলার চলাচল করছে। দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন জরুরী প্রয়োজনে রাস্তায় নামা সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না পাওয়ায় হেটেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে।

লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক বিদ্যুত কর্মকার জানান, পরিচয়পত্রসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কোন যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। নগরীর অভ্যন্তরে জরুরী প্রয়োজনে শুধুমাত্র পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। 

 জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টায় নগরীর সদর রোডের অশি^নী কুমার হলের সামনে মাস্ক এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন কার্যক্রমের সূচনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নগরীতে ৩টিসহ জেলায় মোট ১৫টি টিম কাজ করছে বলে জানান গৌতম বাড়ৈ।