বরিশালে স্বর্ণমেলায় আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

বরিশালে স্বর্ণমেলায় আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
বরিশাল নগরীতে স্বর্ণ মেলার দুইদিনে ২০ হাজার ভরির বেশি কালো স্বর্ণ সাদা করেছেন সাড়ে চার শতাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী। এতে আয়কর আদায় হয়েছে দুই কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা। সোমবার সকালে নগরীর নগরীর গ্র্যান্ড পার্ক হোটেলে দুই দিনব্যাপী স্বর্ণ মেলার উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। কর অঞ্চল বরিশালের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন সোমবার ১১৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায় চার হাজার ভরি অপ্রদর্শিত স্বর্ণ, রৌপ্য ও হিরা সাদা করেন। এতে কর আদায় হয় ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ টাকা। তবে এর থেকে পাঁচ গুণ বেশি টাকা কর আদায় হয়েছে মেলার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার। বরিশালের উপকর কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেলার প্রথমদিন সোমবার ১১৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায় চার হাজার ভরি স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরা সাদা করেছেন। এর মধ্যে পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির ১০১টি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হয় ৪১ লাখ ১১ হাজার ২৫০ টাকা। পটুয়াখালী ও ভোলার সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হয় পাঁচ লাখ ৯২ হাজার এবং বরিশালের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা কর আদায় করা হয়। আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ৩৫১ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি তাদের অপ্রদর্শিত স্বর্ণ সাদা করেছেন। মোট ৪৬৪ জন ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি কর দিয়েছেন। দুইদিনে আয়কর আদায় হয়েছে দুই কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা। মেলার প্রথমদিন কর আদায় হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ টাকা। সেখানে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার কর আদায় হয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৬ হাজার ৭৫০ টাকা। যা প্রথম দিনের চেয়ে পাঁচগুণের বেশি। মেলার দুইদিনে প্রতি ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য এক হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পোলিশড ডায়মন্ডের জন্য ছয় হাজার টাকা এবং প্রতি ভরি রূপার জন্য ৫০ টাকা হারে কর পরিশোধ করে কালো স্বর্ণ সাদা করার সুযোগ ছিল। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আলী খান জসিম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফলে আমরা সোনা ব্যবসার স্বীকৃতি পাচ্ছি। সম্প্রতি সরকার আমাদের জন্য একটি নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। যার আওতায় এ মেলার আয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমাদের সহযোগিতা করছে। মেলায় ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা দিয়ে অপ্রদর্শিত সোনা বৈধ করা যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর অঞ্চল বরিশালের আয়োজনে এ মেলায় ৭ স্টল স্থান পেয়েছিলো। এর ৩টি স্টলে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ঘোষণাপত্র গ্রহণ করতে পেরেছেন। এছাড়া জনতা ও সোনালী ব্যাংকের দু'টি আলাদা স্টল এবং একটি হেল্প ডেস্ক ও একটি স্টলে ১২ ডিজিট টিআইএন গ্রহণ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো।