বরিশালের ১১ কিলোমিটার অভ্যন্তরীন মহাসড়ক দ্রুত সম্প্রসারনের উদ্যোগ

বরিশালের ১১ কিলোমিটার অভ্যন্তরীন মহাসড়ক দ্রুত সম্প্রসারনের উদ্যোগ

পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী বরিশাল নগরীর ১১ কিলোমিটার প্রশস্তকরন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বাইপাস সড়ক নির্মানে অগ্রগতি বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বরিশাল ক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। 

সভায় উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন মতামত দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল আহসান, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম আজাদ রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনাম আহমেদ, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সেলিম শেখ, বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস নগরীর সুধীবৃন্দ। 

সভায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী বরিশাল নগরীর ১১ কিলোমিটার প্রশস্তকরন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বাইপাস সড়ক নির্মানে নিয়ে এর আগে একাধিক সমন্বয় সভা হয়েছে। আজকের (গতকাল) চূড়ান্ত সভায় পদ্মা সেতু পাড় হয়ে বরিশাল নগরীর অভ্যন্তরের ১১ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সহ বিভাগের ৬ জেলায় বাঁধাহীন সড়ক যোগাযোগের জন্য মহাসড়কের দুইপাশ দ্রুত সম্প্রসারনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই লক্ষ্যে নগরীর অভ্যন্তরের ১১ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক বিভাগের জায়গায় থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ যৌথভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে। সড়ক সম্প্রসারন করবে সড়ক বিভাগ। সম্প্রসারন করতে গিয়ে প্রয়োজনে কোথাও অধিগ্রহন করা হবে। 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম আজাদ রহমান বলেন, সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত জরিপের মধ্যেমে নগরীর অভ্যন্তরের ১১ কিলোমিটার মহাসড়কে করনীয় নির্ধারন করে প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রকল্পে দ্রুত অর্থ বরাদ্ধে স্থানীয় রাজনৈতিক নীতিনির্ধারনী মহলের সহযোগীতা প্রয়োজন। 

সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, মহাসড়কের দুই পাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ ১১ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন কাজে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে জেলা প্রশাসন। এ ধরনের সমন্বয় সভা উন্নয়ন তড়ান্বিত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল আহসান বলেন, পদ্মা সেতুর সুফল কুয়াকাটা সহ বিভাগের অন্যান্য জেলায় পৌঁছাতে নগরীর ভেতরের ১১ কিলোমিটার মহাসড়ক দ্রুত সম্প্রসারন করা প্রয়োজন। কালক্ষেপন করার সময় নেই। অবিলম্বে সরেজমিন দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে। এ লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে বিভাগীয় প্রশাসন। 

পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটা সহ বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় সড়ক পথে যাতায়াতে নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড় থেকে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার মহাসড়কে হালকা যানের চাপের কারনে আটকে যাচ্ছে দূরপাল্লা যানের গতি।