বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধার শাস্তি দাবি

বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধার শাস্তি দাবি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধার অনিয়ম দুর্নীতির বিচার ও শাস্তি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানরা। মান্নান মৃধার শাস্তি দাবিতে তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বুধবার বেলা ১১টায় বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 সংবাদ সম্মেলনে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধার অনিয়ম-দুর্নীতি, সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক দেশ ত্যাগে বাধ্য করা, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কার্যকলাপ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে তাঁর শাস্তি দাবি এবং আগামী নির্বাচনে তাঁকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ারও দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বানারীপাড়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এইচ.এম হাফিজুর রহমান মামুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নৌকা প্রতীকের মার্কা নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে এখন স্বাধীনতা বিরোধী চারদলীয় জোটের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সংক্ষালঘুদের জোড়পূর্বক দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছেন। একই সঙ্গে সরকারের সম্পত্তি আত্বসাৎ করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করে চলেছেন। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। আবদুর মান্নান মৃধা উন্নয়ন কজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছন। এব্যাপারে তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এলাকাবাশীর পক্ষে জেলা প্রশাসক ও এল.জি.ই.ডি নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর দুইটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বরিশালের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কর্তৃক তদন্তে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মৃধা এলাকায় ১৭টি ব্রিজের রক্ষিত মালামাল আত্মসাত করে বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া দুয়োগ সহনীয় ঘর নিজের বোনের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। সরকারি ওই ঘর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে নির্মাণের কথা থাকলেও আবদুল মান্নান বোনের নামে দেওয়া ঘর সরকারি সম্পত্তি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এসব বিষয়ে এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে সাক্ষ্য দিতে সাহস পাচ্ছে না। কালো টাকার প্রভাবে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সকল অপকর্ম,ও দুর্নীতির ঘটনা সুষ্টভাবে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু, শ্রমীকলীগ নেতা মো. বজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মিজানুর রহমান মিঠু, সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি  মো. ফারুক হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. বজলুর রহমান, মো. লালন হাওলাদার, মো. নুর হোসেন হাওলাদারসহ এলাকার বাসিন্দারা।