‘নির্বাচনে কেউ না এলে মানুষ কি বসে থাকবে’

বিএনপির ভোট হরণের কালো দিবস পালন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচনে যদি কেউ না আসে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ কি বসে থাকবে?
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ওভারসিজ করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ওকাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালের ভোট আমি এবং আপনারা দেখেছেন। হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভোট দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৪ সালে আমি নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার নিজের তোলা ছবি আছে, মানুষ ভোট দিতে গেছেন। আমি দেখাতে পারবো। যখন আমি নির্বাচন করেছিলাম জনগণের কাছে আমার বার্তা ছিল আমার বিরুদ্ধে হলেও ভোট দেন, ভোট কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করুন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও আমরা চেষ্টা করেছি যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভোট কেন্দ্রে মানুষ না আসার কালচার কবে থেকে চালু হয়েছে, এটা আমার মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। মানুষ মনে করেছে আমার আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করা দরকার এই সরকার করার চেষ্টা করছে। এখন কোনও দল নির্বাচনে এসে আমাদের সঙ্গে কন্টেস্ট না করে, তাহলে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে তো আমি বলে দিতে পারবো না।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি'র কার্যকলাপ আপনারা দেখেছেন। একটি আসন থেকে চারজনকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি। একজন থাকবে, আরেকজন যাবে আর না হলে, পয়সা দিবে যে বেশি পয়সা দিবে সে নির্বাচন করবে। নির্বাচনি আসন যেন তাদের কাছে অকশনের (নিলাম) বিষয় হয়ে গেছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সরাসরি সাংবাদিকদের আটক করা যাবে না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরকম মামলা করলে একজন সাংবাদিককে ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট করা যাবে না। হয় তাকে সময় দিতে হবে, আর না হয় মামলা নেওয়ার পরে তাকে সুযোগ দিতে হবে যেন তিনি কোর্টে এসে জামিন চাইতে পারেন। পলাতক হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। ইমিডিয়েটলি তাকে অ্যারেস্ট করা যাবে না যতক্ষণ না ইনকোয়ারি শেষ না হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কম্পলেইন থাকলে একজন সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি এবং আপনারা দেখেছেন গত ৬ মাসে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
ওকাব টক অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।