বানারীপাড়ায় সংসদ সদস্য শাহে আলমের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

বরিশালের জানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫০ সদস্যের ১২টি পরিবারের ৬ একর জমির দখলের চেষ্টা করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) শাহে আলম বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তরে্যর মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন জমির মালিক রতন ঘরামী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রতন ঘরামী বলেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) শাহে আলম প্রজেক্ট করার লক্ষ্যে জোড়পূর্বক জমি রেজিস্টারী করে নেওয়ার জন্য স্থানীয় মেম্বার ও তার নিজস্ব লোক দিয়ে রাতের আধারে ঘড়ে আটকে রাখার পর ৯৯৯ কল করে পুলিশ আমাকে মুক্ত করে।
এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এমপি শাহ আলমের ম্যানেজার আলআমিন, স্থানীয় মেম্বার ইব্রাহিম, তুহিন গাজী, ইলিয়াস খান বাড়িতে এসে আমাকে আটকে রেখে বলে ‘কাল তোর ১৫ কাঠা জায়গা এমপি সাহেবের নামে লিখে দিতে হবে এবং সকালে রেজিস্টারী অফিসে গিয়ে দলিলে স্বাক্ষর করে দিবি।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে আমার আত্বীয়-স্বজনরা (৯৯৯) নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তায় রাত ২টা ২০ মিনিটে আমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় সাথে পুলিশ তুহিন গাজী, ইলিয়াশ খানকে আটক করে।’
এদিকে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রহস্যজনকভাবে তাদেরকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার ফলে আমরা আরো ভীত সন্তোষ হয়ে পড়ি। কোনভাবে আমরা বরিশালে গোপনে পালিয়ে এসে এ সংবাদ সম্মেলণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান রতন ঘরামী।
এব্যাপারে বানারীপাড়া থানা (ইনচার্জ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাতে রতন ঘরামী ভাগ্নে সৈলেন (৯৯৯) কল করে পরে পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে সৈলেন ও তুহিন গাজী সহ ইলিয়াসকে নিয়ে আসা হয়। সকালে তারা কোন অভিযোগ না দেওয়ার কারনে ক্যাম্প থেকে ৩ জনেই চলে যায়। এঘটনায় রতন ঘরামী বা তার পরিবারের কোন সদস্য এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি আর কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বরিশাল গণফোরাম সভাপতি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান কমিটির সদস্য এ্যাড. হিরন কুমার দাস মিঠু বলেন ‘এক্স এমপি হিন্দুদের রক্ষা করেন। আর কারেন্ট এমপি তাদের ছাড়িয়ে আনেন। আমরা এব্যাপারে শিঘ্রই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করব।’
উল্লেখ্য, গত ১৫দিন আগে এমপি রতন ঘরামীর সঙ্গে তার বাসায় ডেকে নিয়ে বলে, ‘তোর জায়গায় আমি একটা প্রজেক্ট করব। তোর জায়গাটা আমাকে লিখে দে।’ এর পর থেকেই রতন ঘরামীরসহ স্থানীয় অনান্য পরিবারকে এমপির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে আভিযোগ রয়েছে।