বানারীপাড়ায় সুলতান হোসেনের বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ

বানারীপাড়ায় সুলতান হোসেনের বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ

বানারীপাড়ায় মাত্র ২৫ হাজার টাকারও কম খরচে বাড়ির পতিত জায়গায় বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে ট্যাকের (খাঁচায়) মধ্যে মাছ চাষ শুরু করে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সুলতান হোসেন। 

বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকায় তালুকদার বাড়িতে বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে এসএস ফিস ফার্ম ইন বরিশাল নামের ৬টি ফিস ট্যাংক (খাঁচা) তৈরী করে স্থানীয় জাতের সিং,কৈ,মাগুর,পাবদা,সিলন ও ট্যাংরা জাতের এ মাছ চাষ শুরু করে যুব উদ্যোক্তাদের মনোযোগ আকর্ষন করেছেন। 

ট্যাংকের মধ্যে মাছ চাষ করে এলাকায় যুবসমাজে সাড়া ফেলেছেন। তার বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে অনেকেই বাড়ির পতিত জায়গায় মাছ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তারা সুলতান হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আসছেন। তিনি কম খরচে বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে খাঁচার মধ্যে মাছ চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের একাধিকবার পুরস্কার প্রাপ্ত মডেল ফল চাষী সুলতান হোসেন ভোরের আলোকে জানান, বাড়ির পতিত কিংবা খোলা জায়গায় বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হলে প্রথমে ৩৫ ফুট লম্বা আট মিলি রড ৬-৭ ইঞ্চি পর পর সাজিয়ে ও সাড়ে ৩ ফুট উঁচু এবং ১০-১০ ফুট একটি গোলাকৃতির ডায়য়ার ট্যাংক(খাঁচা) ঝালাই দিয়ে তৈরী করতে হয়। 

ওই খাঁচার মধ্যে একটি ওয়াটারপ্রুফ ত্রিপল দিয়ে ভালো করে আটকাতে হয়। যাতে করে কোনরকম ওই খাঁচার পানি প্রয়োজনের ব্যতিরেকে ভিতর থেকে বাহিরে বের হতে না পারে। পরে ওই খাঁচার নিচের দিকে ছিদ্র করে পানি প্রবেশ ও বাহির করার জন্য লোহার অথবা প্লাষ্টিকের একটি পাইপ এবং সুইচসংযুক্ত করতে হবে। পরে পানি সাপ্লাই মেশিন দিয়ে ওই ফিস ট্যাংকের(খাঁচার) মধ্যে প্রয়োজনীয় পানি ও অক্সিজেন সহ অন্যান্য উপকরণ দেয়ার পর সেখানে মাছ চাষ করতে হয়