বাবুগঞ্জে মুগ ডাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় মুগ ডাল চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন বাবুগঞ্জ উপজেলার মুগ ডাল চাষিরা। সরকারি সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ পাওয়ায় কৃষক খেসারির পরিবর্তে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়েছে মুগ ডাল চাষে। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম। চাহিদাও ব্যাপক।
বাবুগঞ্জ উপজেলায় রবি- ২০২১-২২ মৌসুমে ৩ হাজার ৭ শত হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ করা হয়েছে। যদিও ৩ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে বোরো ধানের আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এ বছর মুগের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টর জমিতে ১.২৯ মেট্রিকটনের বেশি ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুগ চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় কম খরচে যথাসময়ে মুগের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১৫০০ জন কৃষককে ৫ কেজি হারে বীজ ২০ কেজি হারে সার প্রদান করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন বোরো, গম, ভুট্টার পাশাপাশি মুগ ডালের ফুলে ফুলে সবুজ হয়ে আছে।এখন মুগ খেতে কীটনাশক এবং ওষুধ প্রয়োগের কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষিরা। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের খেত ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মুগ ডাল চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়। একটু দেরিতে বিক্রি করলে মণপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
চাঁদপাশা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল সালাম জানান, এবছর তিনি ২০ শতক জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি আশাবাদী এতে লাভবান হবেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামীতে বাংলাদেশ যেন খাদ্য ঘাটতিতে না পরে সেজন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষকরা শুধু ধানের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সব ধরনের ফসল উৎপাদন করছেন। এ বছর রেকর্ড পরিমান বোরো ধান ও মুগ ডালের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি হয় সেদিকেও লক্ষ্য রেখে কাজ করছে কৃষি বিভাগের সদস্যরা।