বিডি ফুডের আইপিও অনুমোদনে শর্ত

বিডি ফুডের আইপিও অনুমোদনে শর্ত

বিডি ফুডের আইপিও অনুমোদনে শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির যেসব উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে পরিশোধিত মূলধনের শেয়ার আছে তারা আগামী তিন বছর লকইনে থাকবে অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে তারা কোনো শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবে না। লকইন পিরিয়ড যেদিন থেকে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করবে সেদিন থেকে গণনা করা হবে।

রোববার আইপিও অনুমোদন পাওয়া বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডকে শর্ত দেয়া হয়েছে, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা বা এর বেশি না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ নিতে পারবেন না। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৯৩তম নিয়মিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ৬৩ পয়সা। বিডি ফুডকে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছাড়বে কোম্পানিটি। উত্তোলন করা টাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা, দালানকোঠা নির্মান, ভূমি উন্নয়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাব খাতে ব্যয় করবে বিডি ফুড। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।

এর আগে পুঁজিবাজারের অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বড় অংকের লভ্যাংশ দিয়ে বিনিয়োগাকরীদের আকৃষ্ট করেছে। এর মাধ্যমে ওই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরাও লভ্যাংশ নিয়ে শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়েছেন। পরে যখন শেয়ারের দর বাড়তে থাকে তখন তারা হাতে থাকা বোনাস শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন। বিএসইসির নতুন এই সিদ্ধান্তে সেই সুযোগ বন্ধ হচ্ছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের।

২০২০ সালের ৩০ জুনে বিডি ফুডের সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১২ টাকা ৮২ পয়সা। পুনর্মূল্যায়নসহ এটি ১৪ টাকা ২৩ পয়সা।

পাশাপাশি কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের ১৫ শতাংশ শেয়ার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য বণ্টনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা দুই বছর লক-ইন বা শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে বিএলই ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।