বিশ্বকাপে পরিবেশবান্ধব জার্সি বানিয়েছে শ্রীলংকা

পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৯ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জার্সি বানিয়েছিল শ্রীলংকা। দ্বীপদেশটির সামুদ্রিক প্লাস্টিক-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে সে দুটি টুর্নামেন্টের জার্সি বানানো হয়। শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের এমন উদ্যোগ তখন প্রশংসাও পেয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপেও পরিবেশবান্ধব জার্সি পরে খেলবেন লংকান ক্রিকেটাররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাল প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা। তার আগে ফের আলোচনায় এসেছে শ্রীলংকা দলের জার্সি। আইসিসির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শ্রীলংকার এবারের জার্সির ডিজাইনের নেপথ্য গল্পটা বলেছেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দুটি জার্সির দুরকম গল্প আছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শানাকা একটি জার্সি হাতে নিয়ে হলুদের মধ্যে কালো মিশ্রিত জায়গাটি চিহ্নিত করে বলেছেন, ‘এটা বনভূমি উজাড় করা নিয়ে, যেটা বিশ্বব্যাপী হচ্ছে।’
এরপর গায়ের জার্সিতে বুকের ওপর হলুদ রঙের নিচে কালো ছোপ ছোপ ডিজাইন দেখিয়ে শানাকা বলেন, ‘এটা হিমবাহ নিয়ে বানানো, যা গলে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এগুলো সমস্যা। আমরা সবাই জানি বৈশ্বিক উষ্ণতায় কী কী ক্ষতি হচ্ছে। এসব নিয়ে সবার কথা বলা উচিত। আমি মনে করি এসব বন্ধ করা দরকার।’
২০০৫ সাল থেকে শ্রীলংকা জাতীয় দলের জার্সি বানাচ্ছে এমএএস হোল্ডিংস। শ্রীলংকান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। গত মাসেই এই জার্সি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। আজ আইসিসির ভেরিফাইড পেজে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় সেই জার্সির ডিজাইন তৈরির পেছনের গল্পগুলোই বলেছেন শানাকা।
শ্রীলংকার সংবাদমাধ্যম ‘কলম্বো গেজেট’ জানিয়েছে, ঘামের কারণে জার্সির কাপড় শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকলে যেসব অসুবিধা হয়, সেসব জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছিলেন শ্রীলংকা দলের খেলোয়াড়েরা।
এরপর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং সেখানকার তাপমাত্রা মাথায় রেখে নতুন এই জার্সি বানানো হয়। শ্রীলংকার মতো দ্বীপরাষ্ট্র জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বাড়লে কী ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই বিশেষভাবে জার্সির ডিজাইন করা হয়েছে।