বিশ্বে তেলের দাম কমে আর আমাদের দেশে বাড়ে

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হঠাৎ করে মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে, কৃষকের সারের দাম বাড়বে। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, অর্থনীতি খারাপ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বিশ্বে তেলের দাম কমে আর আমাদের দেশে বাড়ে। কৃষকেরা চোখে অন্ধকার দেখছে। এভাবে আর হবে না। এ দেশের মানুষ এভাবে আর চলতে দেবে না। এই সরকারকে আর টিকতে দেওয়া যায় না।
ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম এবং ছাত্রদল নেতা নুরে আলম নিহত এবং ১৬ জন আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব ভোলায় পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, অযৌক্তিকভাবে শুধুমাত্র রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে পুলিশ-র্যাব ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বহু হত্যা করেছেন গুম করেছেন খুন করেছেন তার ধারাবাহিকতায় আমাদের নুরে আলম এবং আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে আমি পরিষ্কারভাবে জানতে চাই, আমাদের দাবি উত্থাপন করতে চাই, যে পুলিশ কর্মকর্তা, আমরা শুনেছি ওসি তদন্ত আরমান...। এই পুলিশ অফিসারের গ্রেপ্তার চাই এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আমি গতকালও বলেছি নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হই। এই সরকার কিছু মানুষকে ধনী করছে যারা আরও বেশি ধনী হয়ে গেছে আর যারা গরিব তাদের আরও গরিব করেছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের পকেটে তো ঘুষের টাকা আছে, লুটের টাকা আছে, আমাদের পকেটে তো জীবন চলার টাকা নেই।
সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে তারপর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।