বিসিবিকে সাকিবের পরামর্শ

বিসিবিকে সাকিবের পরামর্শ
বিশ্বকাপ এবং তার পরবর্তী সময়ের চিত্র চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে তিন-চার বছরের পরিকল্পনা হাতে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রাজধানীর একটি স্কুলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘হয়তো এখন সময় এসেছে ভালোভাবে চিন্তা করে পরিকল্পনা করে পরের তিন-চার বছরের জন্য ভাবার। আমি নিশ্চিত বিসিবিতে যারা আছেন এটা নিয়ে চিন্তা করছেন।’ ‘ইতিমধ্যে আমাদের দুজন কোচও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হয়তো পুরো কোচিং স্টাফ একসঙ্গে হলে বোর্ডকে একটা পরিকল্পনা দিতে পারবে। সেভাবে কাজ করতে পারলে আমার মনে হয় আমাদের ক্রিকেট গত চার বছরে যত দূর এগিয়েছে, সেখান থেকে আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে আট ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৩ রান করেছিলেন সাকিব। বল হাতে নেন ১১ উইকেট। গোটা বিশ্বকে চমকে দেওয়া সাকিবের এই পারফরম্যান্স যদিও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপসেরার স্বীকৃতির জন্য যথেষ্ট ছিল না। সতীর্থরা সাকিবের এই পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি। তাই তিন জয়ে ১০ দলের আসরে অষ্টম হতে হয় বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজে সাকিবের অনুপস্থিতি ভালোই ভুগিয়েছে দলকে। স্বাগতিকদের কাছে হতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। সাকিবসহ আরও কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটার না থাকায় বাংলাদেশ একেবারেই নখদন্তহীন হয়ে পড়ে। এমন বাংলাদেশকে দেখে অন্য সবার মতো সাকিবও হতাশ। ‘হতাশ তো অবশ্যই। এখানে আসলে লুকোচুরির কিছু নেই। অনেকেই ভেবেছিলেন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ওই ম্যাচটি থেকে আমরা ২ পয়েন্ট পেতাম। এই সিরিজ কিন্তু প্রমাণ দিয়েছে সেই জয়টা মোটেই নিশ্চিত ছিল না। আমরা জিততেও পারতাম, হারতেও পারতাম। এই সিরিজটার কথা যদি বলি হতাশাজনক। সিরিজ হারলেও একটি ম্যাচ যদি জিতে আসতে পারতাম সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য কাজ দিত, কিন্তু সেটা হয়নি।’ হতাশাজনক ফলাফলের কারণ অনুসন্ধানের পথে হাঁটতে চাননি সাকিব। সেই দায়িত্ব দিচ্ছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে, ‘আমি এগুলো মিডিয়ার সামনে বলতে চাই না। টিমের সঙ্গে যারা আছে, নীতিনির্ধারকেরা যারা আছে, কোচিং স্টাফ আছে, ক্রিকেটাররা আছে। এরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে যদি সমস্যা সমাধান করে নেন সেটাই ভালো হবে