বোমা বিস্ফোরণ মামলায় বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী কারাগারে

বোমা বিস্ফোরণ মামলায় বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী কারাগারে

বরিশালের গৌরনদীতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের  উপর হামলা মামলায় বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গৌরনদী উপজেলার শরিকল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বরিশালের বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. রফিকুল ইসলাম তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গৌরনদীর শরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মেজবাহ উদ্দিন আকন বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গতকাল সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের সকলকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- শরিকল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্পব, প্রচার সম্পাদক মো. মজনু খান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুজন বেপারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী আকন, ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতা আনিচ হাওলাদার, মো. বাবুল হাওলাদার, মো. জামাল হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের চাচাতো ভাই পান্নু  সরদার। 
এ মামলার অপর আসামীদের মধ্যে শরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন মিলনসহ ৫ আসামী এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মেজবাহ উদ্দিন আকন অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর রাত ১১টায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হোসনাবাদ গ্রামের স্টিমারঘাট চৌকদার বাড়ি এলাকা অতিক্রমকালে মোটর সাইকেলের লাইটের আলোতে দেখতে পান বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষতি সাধন করছে। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ করে ৭/৮টি বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলি করে তাদের আহত করে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রাণ রক্ষায় পিছু হটে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।