ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের দুর্নীতির প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
রোববার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ মঈনুদ্দিন পটুয়াখালী থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন। বর্তমান কেন্দ্রেও তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করছেন।
বক্তাদের অভিযোগ:
অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রমের কারণে ৮ জন শিক্ষক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
৪ জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ডাটা এন্ট্রি কর্মকর্তা আবু নাঈম চৌধুরী অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফরম বিতরণ ও বাথরুম পরিষ্কারের কাজ দিয়েছেন।
ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান জানান, অধ্যক্ষ বিভিন্ন মালামাল কেনাকাটায় তার স্বাক্ষর নিলেও কেনাকাটার তথ্য গোপন রেখেছেন।
অধ্যক্ষ মঈনুদ্দিনের দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
অধ্যক্ষ মো. মঈনুদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, মোবাইল সার্ভিসিং, ড্রাইভিংসহ ১৪টি বিভাগে ৬০০ শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তবে বর্তমান অস্থিরতার কারণে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।