ভাণ্ডারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্মী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্ত্মান কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সমন্বয়ে এক বিশাল মিলন মেলা ভা-ারিয়ার বিহারী লাল মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার ভা-ারিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি খান এনায়েত করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিশাল মিলন মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভা-ারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভা-ারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফায়জুর রশিদ খসরম্ন জমাদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পিরোজপুর জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌতম চৌধুরী, ফজলুল হক সেন্টু ও সমীর কুমার দাস বাচ্চু। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম এ রব্বানী ফিরোজ, মঠবাড়িয়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন, মুক্তিযোদ্ধা সন্ত্মান কমান্ড ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি এহসানুল হক হাওলাদার। সভায় ভান্ডারিয়ার সকল ইউনিয়নের শত শত মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্ত্মানগণ এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কখনো এদেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের সন্ত্মানগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে এখন থেকে মাঠে-ঘাটে সকল স্থানে অপশক্তির বিরম্নদ্ধে জনমত সৃস্টি করে যাবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা উলেস্নখ করে বক্তারা বলেন ৩শত টাকা থেকে শুরম্ন হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এখন ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে এই সরকার। রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকরা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের প্রাণপ্রিয় শেস্নাগান জয়বাংলা- জয়বঙ্গবন্ধু বলা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্ত্মান যাতে করে স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকদের সাথে হাত না মেলায় সেদিকে সকল মুক্তিযোদ্ধার খেয়াল রাখতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের রম্নখে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে খুলনা ও ঢাকা থেকে আগত সংগীত ও নৃত্য শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের গান ও নাচ পরিবেশন করেন।
এ সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান শুনে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আবেগাপস্নুত হয়ে ওঠেন।