ভান্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু জোমাদ্দার দাবি করেন। তবে, ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশিকুজ্জামান জানান, মামলা রজু হয়েছে।
জানাগেছে, ১৭ তারিখ সোমবার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামে মির্জা বাড়ি প্রাঙ্গণে জাতীয় পার্টি জেপি ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখা একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ওই ইফতার মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে জেপি নেতারা নিকৃষ্ট ভাষায় সমালোচনা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও গ্রামবাসী উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রতিবাদ করলে সেখানে জেপি নেতাকর্মীদের সাথে এক পর্যায় উভয় পক্ষের হাতাহাতি হয় এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মাইক্রোবাস ভাংচুর এবং উভয় পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানা গেছে। তেলিখালীর ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যার পরে জেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ভান্ডারিয়া খাদ্য গুদাম সংলগ্ন আ’লীগ অফিসে হামলা চালায়।
তারা বিক্ষুব্ধভাবে ভান্ডারিয়া বন্দরের বিভিন্ন স্থানে আ’লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। জেপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয় বলে সাংবাদিক সম্মেলনে আ’লীগ সভাপতি দাবি করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সহ উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ লিয়াকত হোসেন তালুকদার, সহ-সভাপতি আঃ রশিদ মৃধা, যুবলীগ সভাপতি মোঃ এনামুল কবির টিপু তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এহসাম হাওলাদার প্রমুখ।