ভারতীয় পানি আগ্রাসন ও সরকারের জনবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন- চরমোনাই পীর

ভারতীয় পানি আগ্রাসন ও সরকারের জনবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন- চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, “সরকার অতিমাত্রায় ভারতপ্রেমী হওয়ায় ভারতের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। ভারতের পানি আগ্রাসন ও সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পারছে না। তিনি বলেন, ভারতে বিজেপি নেত্রী কর্তৃক রাসূল সা. এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা.-এর শানে কটুক্তির প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও আমাদের সরকার ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারেনি। তাদের কাছে নবীর ভালবাসার চেয়েও ভারতের ভালবাসা বেশি।”  তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীকে কেন্দ্র করে আমাদের সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। শতশত নদীর গতিপথ ধরে বিকশিত হয়েছে জীবন, গড়ে উঠেছে জীবিকা প্রবাহ। অথচ দেশের সরকারগুলোর ভুল নীতি, ভারতীয় পানি আগ্রাসন ও সরকারগুলোর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এই দেশটাকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলেছে।

”আজ শনিবার  ২ জুলাই বিকেলে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বিশাল গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম, শ্রমিকনেতা আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “বিজেপি নেত্রী নুপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে ভারতের রাজ্যেই নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কোন নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে পারেনি। এরচেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।” তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা এতো নিচে নেমেছে যে, তারা শিক্ষকদের পিটিয়ে মারছে। এমতাবস্থায় যেখানে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় জোড় দেয়ার কথা সেখানে এই সরকার শিক্ষাক্রম থেকে নৈতিকতাসমৃদ্ধ ইসলাম শিক্ষাকে সংকুচিত করছে। জাতিকে ধ্বংস করার পদক্ষেপ তারা একের পর এক নিয়েই যাচ্ছে।”

 প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, “বন্যার পানিতে যখন মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে তখন কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতুর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান করাই প্রমাণ করে এই সরকার কতটা জনবিরোধী সরকার।