ভুল রিপোর্ট’ দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ শাজাহান খানের মেয়ের

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট’ দেওয়ায় সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
করোনার ‘জাল সনদ’ দেখিয়ে রবিবার লন্ডন যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠে ঐশী খানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, তিনি করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ইমিগ্রেশনে হাজির হলেও অনলাইনে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ফলে তাকে নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগে ঐশী খান জানান, ‘আমি ইংল্যান্ডের কোভেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমি ইংল্যান্ড হতে বাংলাদেশে আসি। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে আমার পক্ষে ইংল্যান্ড যাওয়া সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘পুনরায় আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ চালু হলে ২৬ জুলাই বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিজি০০১ বিমানযোগে আমার ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য কভিড-১৯ টেস্ট এর নেগেটিভ রিপোর্ট আবশ্যিক।’
সাবেক নৌ-মন্ত্রীর কন্যা বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমি সরকার নির্ধারিত ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টারে গত ২৪ জুলাই স্যাম্পল প্রদান করি এবং ২৫ জুলাই বিকেল ৪টায় অনলাইনে আমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাজিন ও আমার বাবার ব্যক্তিগত সহকারী সৈয়দ মমসাদউজ্জামান ডিএনসিসির করোনা আইসোলেশন সেন্টারে হাজরি হয়ে টেস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করে, সেখানেও আমার কভিড টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।’
ঐশী খান বলেন, ‘সেই মোতাবেক আমি ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে লাগেজ বুকিং দিয়ে ইমিগ্রেশন চেক করার মুহূর্তে তারা আমাকে জানায় যে, অনলাইনে আমার করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ।’
তিনি বলেন, ‘আমার কোন করোনা লক্ষণ ছিল না। রিপোর্টও নেগেটিভ হওয়ায় আমি আমার পরিবারের সবার সঙ্গে স্বাভাবিক চলাফেরা করেছি। আমার বাবার সঙ্গে একই গাড়িতে বাসা থেকে বিমান বন্দরে যাতায়াত করেছি।’
শাজাহান খানের মেয়ে বলেন, ‘আমার বাবাও করোনা ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে আমিসহ পরিবার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আছি। তাছাড়া আমার এই রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যে আমার বাবা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়াতে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হওয়ায় আমার বাবার সম্মানহানি হয়েছে যা অমার্জনীয় অপরাধ।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ভুল রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এর ধরনের মানুষকে অযথা হয়রানি হতে না হয় তার জন্য অতিসত্বর যেন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়।’
এ বিষয়ে শাজাহান খান ফোনে বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করে আসছি। এছাড়া ওই হাসপাতাল থেকে এ ব্যাপারে তাদের দেওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট ভুল হয়েছে সেটা স্বীকার করেছে। তবে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ছিল।’
রিপোর্ট নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনইএলএমআরএস -এর পরিচালক অধ্যাপক আবুল খায়ের সামচুজ্জামান।