ভোরের আলোর ও ডিডাব্লিউ একাডেমির সাথে চুক্তি

দৈনিক বরিশাল ভোরের আলোর ‘মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট’ করার জন্য এগিয়ে এসেছে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ডিডাব্লিউ একাডেমি। এর মধ্যেই দুই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ভোরের আলোর পরিবার নিয়ে দিন ব্যাপী একটি কর্মশালাও সমাপ্ত হয়েছে।
জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ডিডাব্লিউ একাডেমি গণমাধ্যম উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে। চলতি বছর দেশের নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের উন্নয়ন এবং চাহিদা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে ডিডাব্লিউ একাডেমি’। তারই ধারাবাহিকতায় বরিশালের আঞ্চলিক পত্রিকা ‘দৈনিক বরিশাল ভোরের আলো’র ‘মিডিয়া ডেভলেপমেন্ট এবং (অনলাইন ভার্সন) এর মাল্টিমিডিয়া সাংবাকিতায়র উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে।
ডিডাব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং ট্রেইনার ফামিম ফেরদৌস এই প্রকল্পে আগে থেকেই চিন্তা রেখেছিলেন এবার ঢাকার বাইরে অন্য কোন জেলার গণ্যমাধ্যমের সঙ্গে খুব কাছাকাছি থেকে তারা কাজ করবে। পরে সারা দেশের অনেকগুলো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করে সবশেষে ‘ভোরের আলো’র সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ডিডাব্লিউ একাডেমির এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য—
ফামিম ফেরদৌস বলেন, ‘ডিডাব্লিউ একাডেমি জার্মান গণমাধ্যমের ডয়েচ ভেলের একটি সংস্থা। যারা গণমাধ্যম উন্নয়ন নিয়ে পুরো পৃথিবী জুড়ে কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। যার মধ্যে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করব। আমরা দেখবো তাদের কি প্রয়োজন, তাদের কোন কোন জায়গায় উন্নয়ন দরকার সেই চাহিদা অনুযায়ী তাদের সঙ্গে বসে আমরা পরিকল্পনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রকল্পে আমরা আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছি এবার ঢাকার বাইরে অন্য কোন জেলার গণ্যমাধ্যমের সঙ্গে খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করব। পরে সারা দেশের অনেকগুলো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করে তার মধ্য থেকে সবশেষে আমরা ‘ভোরের আলো’র সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কারণ- ‘দৈনিক ভোরের আলো’র (daynikvoreralo.com) ডিজিটাল প্রেজেন্ট’স, সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্ট’স সব মিলিয়ে যেটাকে আমরা মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্ট’স বলি, সেটা আমাদের প্রকল্প এবং চিন্তা ধারার সঙ্গে খুব কাছাকাছি মিল রয়েছে। আমাদের কনসালটেন্ট পিটার ত্রেসকা ভোরের আলোর অফিস পরিদর্শন করেছেন এবং তার গবেষণা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বেশকিছু প্লান শেয়ার করেছেন ভোরের আলো টিমকে। এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, পত্রিকা এবং এই টিমের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা দেখে যাচাই-বাছাই করে সেটাকে আরো অনেক দূর কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে কিছু নতুন পরিকল্পনা তিনি শেয়ার করেছেন।’
২০২৩ সাল পর্যন্ত গবেষনা মূলক চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করার জন্য ভোরের আলোর অফিস পরিদর্শন করেছেন জার্মানের সাংবাদিক, গবেষক এবং ডিডাব্লিউ একাডেমির কনসালটেন্ট পিটার ত্রেসকা।
দুইদিনে সফরে এসে যে মন্তব্য করেছেন পিটার ত্রেসকা—
‘গত দুই দিন ধরে আমি ভোরের আলোর টিমের সঙ্গে কাজ করছি। এই টিমটি সৃজনশীল উদ্ভাবনী দক্ষতার মাধ্যমে যা অর্জন করেছে তা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। ভোরের আলোর ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পূর্ণ প্রফেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ করে চমৎকারভাবে করা হয়েছে। আমরা যখন ভিডিওগুলো দেখেছি আমাদের মনে হয়েছে এই টিমটি নতুন নতুন চমৎকার কিছু চিন্তাধারা নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে। প্রতিটি কনটেন্ট এর মধ্যেই নতুনত্ব রয়েছে। যখন আমরা বিস্তারিতভাবে ভিডিওগুলো দেখলাম তখন এটা লক্ষ্য করলাম যে, প্রতিবারই নতুন ভার্সনে নতুন ধারণা নিয়ে ভিডিওগুলো আপলোড করেছে তারা (টিম)। এত অল্পসংখ্যক কর্মী এবং এত কম পরিমাণ যান্ত্রিক সহায়তার মাধ্যমে তারা এত চমকপ্রদ কিছু কাজ করেছে! এটা সত্যিই অনবদ্য এবং অসাধারণ।
যদিও ভোরের আলো টিমে কর্মীসংখ্যা এবং যান্ত্রিক সাপোর্ট খুবই কম, তা সত্ত্বেও ভোরের আলোর ভিডিও কনটেন্ট এবং ভার্সনগুলো দেখলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, ‘ভোরের আলো’ বাংলাদেশের যে কোনো বড় নিউজ কোম্পানির তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত এবং অভিভূত ভোরের আলো টিমের সাথে এত চমৎকার একটি সময় কাটাতে পেরে। আমার শুভকামনা রইলো ভোরের আলোর প্রতি এবং আমি সবসময় চাইবো ভোরের আলো তাদের এই সৃজনশীল উদ্ভাবনী দক্ষতা এবং চিন্তাধারার মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধির পথে সামনে এগিয়ে যাবে।’
দৈনিক বরিশাল ভোরের আলোর বার্তা সম্পাদক তন্ময় নাথ যা বলেছেন—
‘ভোরের অলো একটি আঞ্চলিক পত্রিকা। তারা অনলাইন ভার্সনে বেশ জনপ্রিয় এবং নতুন নতুন চিন্তা ধারা নিয়ে কাজ করছে। সেটিকে আরো নতুন রুপ এবং পাঠকদের জন্য আরো ভালো কন্টেন্ট, সংবাদ এবং এই ডিজিটাল সাংবাদিকতার উন্নয়নের জন্য এমন একটি সুযোগ পেয়েছি। এরই অংশ হিসেবে ডিডাব্লিউ একাডেমি’র সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে। যেটি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে পাঠকদের জন্য আরো নতুন নতুন আডিয়ার কন্টেন্ট, সংবাদ প্রচার করতে পারবো।’
ভোরের আলোর যাত্রা —
২০১১ সালের ১ অক্টোবর বাজারে আসে ভোরের আলো প্রিন্ট পত্রিকাটি। দীর্ঘদিন পর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০১৯ সালে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ভোরের আলো ডটকম’ (daynikvoreralo.com) যাত্র শুরু হয়।