ভয়ংকর যত অস্ত্র উদ্ধার

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্য থেকে আজ ভয়ংকর কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এর মধ্যে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড, লরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের গুলি ৫১০ রাউন্ড ও ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার রয়েছে।
সোমবার বিকাল ৪টায় চুনারুঘাট থানায় কমপ্লেক্সের ভেতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিনসহ আবেদ ত্রিপুরা ওরফে অমিত নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে তাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাত ৩টা থেকে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড, লরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের গুলি ৫১০ রাউন্ড ও ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক অমিতের বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায়। বর্তমানে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযান চলমান রয়েছে। আটক অমিতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্য থেকে ১৮টি কামান বিধ্বংসী রকেট সেল উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। এরপর আবারও ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। ৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।