মঠবাড়িয়ায় আমিরুলের খুনিদের ফাঁসির দাবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাহফিল শুনে বাড়ির ফেরার পথে প্রবাসী আমিরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। খুনিকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নিহত আমিরুলের বাড়ির সামনে পশ্চিম চালিতাবুনীয়া সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের সম্মূখ সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সাবেক ইউপি সদস্য কবির হোসেন, হত্যার শিকার আমিরুলের বড় ভাই নূরুল ইসলাম, স্ত্রী সীমা আক্তার , বৃদ্ধ বাবা ও দুই সন্তানসহ ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অন্তত তিন শতাধিক নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া সড়কে আমিরুলকে একা পেয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আমিরুলকে খুন করার রাতেই এ সন্ত্রাসীরা ফেজবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেয়। এলাকায় অনেক সময় এরা চাদাবাজীও করে আসছিল। এদের ভয়ে এলাকাবাসী জিম্মি থাকত। আমরা আর চাই না আমিরুলের মত নিরহ মানুষ এভাবে খুন হোক। খুনিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করে এলাকায় শান্তি ফিরেয়ে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ আমাদের।
উল্লেখ্য- এ ঘটনায় নিহত আমিরুলের বড় ভাই নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে ঘটনার পর দিন ২২ ফেব্রুয়ারি ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৫ জনের বিরেুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় চালিতাবুনিয়া গ্রামের হায়দার পঞ্চায়েত (৫০), তার ছেলে কলেজ ছাত্র তাহসিন আরবি (১৮), একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানের ছেলে নিয়াজ মাহামুদ (১৭), রাজমিস্ত্রী ইউনুসের ছেলে মো. হোসাইন (১৭) কে গ্রেফতার করেছে। পরে আলিয়ার রহমান অলি (৪৫) কে ঢাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে এজাহারভূক্ত এ পাঁচ আসামী জেল হাজতে রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ হত্যা-ে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।