মহানগরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিন

বরিশাল মহানগরে এখন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যত্রতত্র সড়কের ওপর ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। মহানগরের মধ্যে গণপরিবহনের স্ট্যান্ড হওয়ায় যানযট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। মহানগরের মধ্যে কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এসব গণপরিবহণের স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। অবৈধ এসব স্ট্যান্ড অপসারণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে ট্রাঢিক বিভাগ নগরের সদর রোডের স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালালেও সফলতা আসছে না। নগরের মধ্যে গড়ে ওঠা ইজিবাইক, মাহিন্দ্র এবং অন্যান্য গণপরিবহণ স্ট্যান্ড সরিয়ে দিতে সিটি করপোরেশন এবং ট্রাফিক বিভাগের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। যানযট নিরসন এবং নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিন।
বরিশাল নগরের প্রাণ কেন্দ্র সদর রোড, বিবির পুকুরের পশ্চিম ও উত্তর প্রান্ত, হেমায়েত উদ্দিন সড়কের একটা অংশ জুড়ে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা অটোতে গাদাগাদি হয়ে থাকে। ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরা বারবার চেষ্টা করেও এখানের যানযট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। একই অবস্থা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়ক ও হাসপাতাল রোডের একাংশ। নগরের নতুন বাজার এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটু পূবে নৌবন্দর এলাকার সড়কসহ গুরনুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যানবাহনের দখলেই থেকে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, ব্যাটারীটালিত রিক্সার স্ট্যা-ের নগরে রূপ নিচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
বরিশাল নগরে বৈধ অবৈধ মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার হলুদ অটো, সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল করছে। অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুঘটনা। নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের স্ট্যান্ড ও গণপরিবহনের কারণে চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ নাগরিকদের। এসব সড়কে চলাচল এবং রাস্তা পারাপারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মহানগরের গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিতেই হবে। যেসব অটো, সিএনজি, মাহিন্দ্রার বৈধতা নেই তাদের মহানগর থেকে অপসারণ করতে হবে। এব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সিটি করপোরেশনের একযোগে কাজ করা দরকার। তা না হলে এই জঞ্জাল দূর করা কঠিন হবে। সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ দ্রুত সেই উদ্যোগ নিক।